
জন্মভূমি ডেস্ক : মহাকাশে গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর সেই গুপ্তধন উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই গুপ্তধনের মধ্যে আছে লোহা, নিকেল এবং সোনা। আর এই গুপ্তধন রয়েছে একটি গ্রহাণুতে। যার নাম ‘এম টাইপ’।
গ্রহাণুটির অবস্থান মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝের অংশে, দূরত্ব প্রায় ২.২ বিলিয়ন মাইল। গত অক্টোবর মাসেই নাসার তরফে ‘১৬ সাইকে’-র উদ্দেশ্যে একটি স্পেস এক্স ফ্যালকন রকেট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গন্তব্যে পৌঁছতে তার এখনও অনেক সময় লাগবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২৯ সালের আগস্ট মাসে লক্ষ্যে পৌঁছাবে রকেট। তবে পৌঁছেই রকেটটি গ্রহাণুতে অবতরণ করবে না। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রহাণুটিকে প্রদক্ষিণ করবে বেশ কয়েক পাক। এই রকেট পাঠানোর উদ্দেশ্য পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক বলে দাবি নাসার। সোনা, লোহা, নিকেলের মতো মূল্যবান ধাতব পদার্থ আহরণের প্রচেষ্টার আগে নাসা জানতে চায়, গ্রহাণুটির ভৌগলিক গঠন, ধাতব ভাণ্ডারের উৎসের কারণ। ধরনেধারণে অন্যান্য গ্রহাণুর থেকে অনেকটাই আলাদা হওয়ায় এর উৎপত্তি এবং কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত গবেষণায় আগ্রহী নাসা। নাসার বিজ্ঞানীদের যুক্তি, এই গ্রহাণুটির আকৃতি প্রায় ৬৪ হাজার বর্গমাইল। এটি ১৪০ মাইল চওড়া। সাধারণত গ্রহাণু পাথুরে প্রকৃতির হয় বা বরফাবৃত হয়। তবে ‘১৬ সাইকে’ গ্রহাণুকে আপাতত ‘কাল্টিভেট’ করতে চাইছে নাসা।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত