রঞ্জন কুমার মল্লিক, মাদারীপুর : মাদারীপুরের রাজৈরে এক ইতালি প্রবাসী ছেলের সাথে গোপনে প্রেমের বিয়ে নিয়ে দ্বন্ধের জেরে শুশুরবাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ওই গৃহবধুর শুশুরবাড়ির মারিয়া আক্তার নামের তিন মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহ বধূসহ চারজন আহত হয়ে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতরা হলেন-ইতালী প্রবাসী শাকিলের তিন ভাই ইব্রাহিম চাকলাদার (৩২), রাকিব চাকলাদার (২৮) শামীম চাকলাদার (৩৫) ও তার তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মারিয়া বেগম (২১)।

এই ঘটনায় ২ এপ্রিল রাজৈর থানায় শামীম চাকলাদার বাদী হয়ে ছোট ভাই শাকিলের শ^শুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, রাজৈর উপজেলার পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সাত্তার চাকলাদারের ইতালি প্রবাসীর ছেলের সাথে শাকিল চাকলাদারের সাথে পাশের গ্রাম চর মোস্তফাপুরের আশরাফ হোসেনের মেয়ে আরিফা আক্তারের সাথে গোপনে প্রেমের বিয়ে হয়। এই ঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিতে রাজি না হলেও একপর্যায়ে মেনে নেয়। এদিকে ইতালী প্রবাসী শাকিল বাড়িতে ভাইদের কাছে টাকা পয়সা না পাঠিয়ে তার নববধু আরিফা আক্তারের নামে টাকা পাঠালে সংসারে বাধে বিপত্তি। কথা-কাটাকাটি হলে আরিফা চলে যায় তার বাবার বাড়ি। এঘটনার জেরে শাকিলের বাসায় ঈদের দ্বিতীয় দিন (১ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে খাবার খাওয়ার সময় ১৫/২০ জনের একটি দল শাকিলের বাড়িতে নববধু আরিফা আক্তারের বাবার বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায় ও বাড়িঘর লুটপাট করে। এ হামলায় শাকিলের বড় ভাইয়ের তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মারিয়া আক্তারকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে শাকিলের আরো তিন ভাই আহত হয়।

ইতালী প্রবাসী শাকিলের আরেক ভাই আলিরাজ চাকলাদার জানায়, আমার তিন ভাই ও অন্তঃসত্ত্বা ভাবীসহ চার জন গুরুতর আহত হয়েছে, আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
অন্তঃসত্ত্বা মারিয়া আক্তার জানায়, ‘আমি তিন মাসের গর্ভবতী ওরা আমাকে মারধর করেছে ও মাথায় কুপিয়ে আঘাত করেছে। এখন আমার গর্ভের বাচ্চা জীবন মৃত্যুর হুমকির মধ্যে আছে।’
এঘটনায় অভিযুক্ত আশরাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুদ খান মুঠোফোন জানান, ‘এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’