রঞ্জন কুমার মল্লিক, মাদারীপুর : মাদারীপুরে টানা ২৪ ঘন্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেমে এসেছে জনজীবনে। শহরের বেশকিছু এলাকার সড়কের বৃষ্টির পানি জমে থাকায় বেড়েছে ভোগান্তি। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বৃষ্টির কারণে খোলেনি বেশিরভাগ দোকানপাট, দেখা গেছে তালাবদ্ধ।
সরেজমিন ও আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, ২৪ ঘন্টায় মাদারীপুরে ৬৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আরো ২দিন এই বৃষ্টি থাকবে বলেও জানায় তারা। টানাবৃষ্টিতে মাদারীপুর শহরের অধিকাংশ সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তিতে বাসিন্দারা। এরমধ্যে পুরান বাজার, হামিদ আকন্দ সড়ক, ডা. অখিল বন্ধু সড়ক, শহীদ মানিক সড়ক, মন্টু ভুইয়া সড়ক, শহীদ বাচ্চু সড়ক, পাবলিক লাইব্রেরি রোডসহ বেশকিছু সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বাড়ছে দুর্ভোগ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করা ও যত্রতত্র জলাশয় ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মানের কারনেই একটু বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় এমন নাজুক অবস্থা। ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই যাত্রী, চালক ও পথচারীর। এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সমস্যা সমাধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
মাদারীপুর শহরের আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা মিতু মধু বলেন, ‘আমাদের এলাকার শহীদ মানিক সড়কটির ড্রেন ময়লা জমে আটকে গেছে। বলরামদেব মন্দিরের বড় পুকুরটি বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে। পুকুর থেকে পানি বের হওয়ার পাইপ ময়লা জমে আটকে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগাদা দিলেও তারা পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা না করায় এখন চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কের ও এলাকার একই রকম অবস্থা দেখা গেছে।
মাদারীপুর আবহাওয়া কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানিয়েছেন, মাদারীপুরে আরো দু একদিন এরকম বৃষ্টি মুখর পরিবেশ থাকতে পারে।
মাদারীপুর পৌরসভা থেকে জানা গেছে, মাদারীপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি মৌজায় প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়ে ১৪ বর্গ কিলোমিটারের মাদারীপুর পৌরসভা ১৯৯১ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা পায়। কর, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু সনদ, রাজস্বসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিবছরই শত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে পৌর কর্তৃপক্ষ।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত