জন্মভূমি ডেস্ক : মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমানার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মাদারীপুর অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইবুনালে এই মামলা দায়ের করেন মাদারীপুর শহরের ১নং শকুনী এলাকার খালেদা ইয়াসমিন নামে এক নারী।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলা বাদী পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চন্দ্র সরকার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদীর ১০ শতাংশ জমি অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ তফসিলভুক্ত হয়ে গেজেট প্রকাশ হয়। এই সম্পত্তি অবমুক্তির জন্য অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইবুনালে খালেদা ইয়াসমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় গত ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি বাদীর অনুকূলে রায় হয়। পরে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। চলতি বছরের ১৭ মে আপিল নামঞ্জুর করে পূর্বের আদেশ বহাল রাখে এবং আদেশ বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন। এছাড়া মাদারীপুর অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইবুনাল থেকে চলতি বছরের ১৩ জুন ৫৪নং স্মারকে রায় ডিক্রী বাস্তবায়নের জন্য রায় ডিক্রীর অনুলিপি প্রেরণ করে নির্দেশ প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক ট্রাইবুনালের রায় ও ডিক্রী মোতাবেক জমি অর্পিত তালিকা থেকে অবমুক্তির কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পরে বাদীর পক্ষ থেকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। এরপর তিনি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। মামলা এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাইবুনালের ডিক্রী বাস্তবায়ন না করা সুস্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন এবং আদালত অবমাননা আইন ২০১৩ এর ২ ধারার ৬ ও ৯ নং উপধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চন্দ্র সরকার জানান, আমার মক্কেল অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করে। মামলায় আমার বাদী ডিক্রী প্রাপ্ত হয়। এরপর ডিক্রী বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ডিক্রী বাস্তবায়নের জন্য লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হলে তিনি তার কোনো জবাব দেননি। তাই তার বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট আদালত অবমামনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইবুনাল ও মাদারীপুর যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতের বিচারক কোহিনুর আরজুমান জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
এই আইনবীবী আরও জানান, জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে আরও একাধিক মামলা হয়েছে।
এসব ব্যপারে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার জবাব দেননি।