মাদারীপুর অফিস : ‘অনেক সময়ে আদালতে মানুষ নিজের সুবিধা মতন মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করলেও সালিশীর মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসায় সত্য বলতে বাধ্য হয়। এর কারণ যখন কোন বিরোধ নিয়ে সালিশীর আয়োজন করা হয়, তখন গ্রামের মুরুব্বি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে বিরোধীকারীরা মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে পারেন না। তাই পৌর বোর্ড আইনের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসাতে সালিশী কার্যক্রম সততা ও ন্যায়ের সাথে আয়োজন করলে দেশের মামলা জট অনেক কমে আসবে’- বলে মন্তব্য করেন একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশনের আয়োজনে ও তাদের হলরুমে পৌর নাগরিকদের নিয়ে সালিশ মীমাংসায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে পৌর বোর্ড আইন-২০০৪ বিষয়ক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এই মন্তব্য করেন বক্তারা।
কর্মশালাটি প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহ মোহম্মদ সজীব।
মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশনের পৌর বোর্ড আইনের আওতায় সালিশ মীমাংসায় বিরোধ নিষ্পত্তি প্রকল্পের মাদারীপুর পৌর সভার প্রকল্প সমন্বয়কারী মশিউর রহমান খানের উপস্থাপনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়কারী খান মো. শহীদ ও সহকারী প্রধান সমন্বয়কারী মাসুমুল হক।
কর্মশালায় মাদারীপুর পৌর শহরের সাবেক জনপ্রতিনিধি, সিনিয়র সাংবাদিক ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকেরা অংশগ্রহণ করে।
কর্মশালায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে পৌর বোর্ড আইন-২০০৪ এর অধীনে সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন বক্তারা।
