মাদারীর সদর উপজেলা আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর

মাদারীপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ সহ ৭ দফা দাবী তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক।
তিনি আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১২টায় শহরের নতুন শহর এলাকার নিজ বাসায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শাজাহান খানের ছেলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসিবুর রহমান খান পিতার কালো টাকা, অবৈধ সম্পদ এবং প্রভাবের জোরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। পিতার অবৈধ কালো টাকা দিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। ইতিমধ্যে টাকার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, নির্বাচনি ব্যবস্থা, সন্ত্রাসী বাহিনী, মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং, ভূমিদস্যু, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজদের কে নিয়ে নির্বাচনি ফলাফল নিজের পক্ষে নিতে চেষ্টা করিতেছেন।
এসময় তিনি শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ৭ দফা দাবী তুলে ধরে বলেন-তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না। সশরীরে অথবা মোবাইল ফোনে কাউকে তার ছেলের পক্ষে নির্বাচন করতে নির্দেশ বা অনুরোধ করতে পারবেন না। কাউকে ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।. তার ক্ষমতার প্রভাবে তৈরি হওয়া সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, টেন্ডারবাজ, ভূমিদস্যু, কিশোর গ্যাং সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন কতে হবে। ঝুকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ইলেকট্রোরাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হবে। ইতিমধ্যে সংগঠিত সন্ত্রাসী ঘটনা সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল হাসান নিটুল খন্দকার সহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
এই বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা শাজাহান খানের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে আমি এসেছি। কিন্তু আমি নির্বাচনে কোন কাজে অংশ নিচিছ না।’
এই ব্যাপারে মাদারীপুর নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, আমরা ১৪ টি বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশকে জানিয়েছে। অভিযোগ নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছি।