জন্মভূমি ডেস্ক : ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এ আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় শিবির ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের নির্দেশে স্থানীয় লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের সাত নাম্বার ওয়ার্ডের ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জনগণের জন্য আশ্রয় শিবির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যারা অর্থাভাবে আশ্রয় শিবিরে যেতে পারছেন না তাদের গাড়ি ভাড়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান টাকা দিচ্ছেন বলে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি যোগ করেন সীমান্ত পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এ আশঙ্কায় ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাইশ পারি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ২০ পরিবার, ভাজাবনিয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, তুমব্রু কোনার পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, ঘুমধুম পূর্ব পাড়া থেকে ২০ পরিবার, তুমব্রু হিন্দু পাড়া থেকে ১০ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে পাশবর্তী কক্সবাজার উখিয়া, মরিচ্যা, কোট বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে গত সোমবার বিকেল থেকেই আশ্রয় নিয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আজকে টানা ৫-৬ দিন ধরে সীমান্তে মায়ানমারের ওপারে গোলাগুলির কারণে আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। গত রাতব্যাপী সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। সীমান্ত পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এ আশংকায় ঘুমধুম ইউনিয়নের সাত নাম্বার ওয়ার্ডের ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জনগণের জন্য আশ্রয় শিবির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সীমান্ত ঘেষা লোকজনকে সেখানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।