১৯৭১ সালের ৬ মার্চ পদ্মা মেঘনার ওপারে কুষ্টিয়া থেকে বরিশাল জেলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাকে দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গণ নামকরণ করে, সেই রণাঙ্গণের অধিনায়কত্ব যিনি গ্রহণ করেছিলেন তিন হলেন লে. কর্নেল (অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী। পরে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দক্ষিণ পশ্চিমাংসের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করেন। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডারে মতো গুরু দায়িত্ব সফল ভাবে পালন করেছেন তিনি। তিনি শুধু একাত্তরের রণাঙ্গনেরই যোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ-নির্ভর আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের মশালবাহী পথপ্রদর্শক।
আবু ওসমান চৌধুরী ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার মদনেরগাঁও গ্রামের চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আব্দুল আজিজ চৌধুরী ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তাঁর মা মাজেদা খাতুন ছিলেন হাজিগঞ্জ থানাধীন কাঁঠালি গ্রামের জমিদার মিয়ারাজা হাজির কনিষ্ঠ সন্তান। ৯ বছর ঘরকন্নার পর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মাজেদা খাতুন অকালে মৃত্যুবরণ করেন। আবু ওসমান চৌধুরীর বয়স তখন মাত্র দুই বছর।
বিএ পাস করে ১৯৫৭ সালে আবু ওসমান ঢাকা এয়ারপোর্টে ‘এয়ারপোর্ট অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। এই পদের প্রশিক্ষণে থাকাকালীনই তিনি সেনাবাহিনীতে কমিশনের জন্য প্রদত্ত পরীক্ষায় পাস করায় আন্তঃবাহিনী নির্বাচন বোর্ডে উপস্থিত হবার জন্য আহŸান পান। ১৯৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কোহাটে অবস্থিত অফিসার্স ট্রেনিং স্কুলে (ওটিএস) যোগ দেন। সেখানে ৯ মাসের কঠিন প্রশিক্ষণের পর ১৯৫৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৬৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি মেজর পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
দেশের প্রতি আবু ওসমানের টান শৈশব থেকেই। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ২১ ফেব্রæয়ারির ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ভাষা আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন সাহসী এই তরুন। পূর্ব পাকিস্তান তথা বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানিদের নেতিবাচক মনোভাবে তিনি বরাবরই ক্ষুব্ধ ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সামরিক ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে সম্ভাব্য নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রের খবর জানতে পেরেই তিনি বহু চেষ্টা করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস বাহিনীতে বদলি নিয়ে ১৯৭১ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে ঢাকা আসেন। ৬ ফেব্রæয়ারি তিনি পিলখানায় যোগ দেন। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪নং ইপিআর উইংয়ের অধিনায়ক হিসেবে। আবু ওসমান চৌধুরী ছিলেন সেই ইপিআর উইংয়ের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি সেনা কর্মকর্তা। তিনি যখন যোগ দেন তখন কুষ্টিয়া-যশোর এলাকায় বাঙালিদের পাকিস্তানবিরোধী সংগ্রামের উত্তাল তরঙ্গ চলছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণা তাতে ঘি ঢেলে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করে।
২৫ মার্চ ১৯৭১ রাতে ঢাকার বুকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণ ও গণহত্যার খবর পান কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে বসে। সে সময় সমস্ত দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের পক্ষে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এ পরিস্থিতিতে আবু ওসমান সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নিজস্ব শক্তি ও জনবল নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তিনি কার্যত হয়ে ওঠেন সমগ্র কুষ্টিয়ায় সামরিক ও বেসামরিক মানুষের ভরসাস্থল। গণমানুষের সেই বিশ্বাসের পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছিলেন আবু ওসমান চৌধুরী। তাঁর পরামর্শে বাঙালি জওয়ানদের গুলিতে ক্যাপ্টেন সাদেক ও তাঁর সঙ্গীরা নিহত হয়। এ ঘটনার পর আবু ওসমান যশোর দখলের লক্ষ্যে প্রথমে কুষ্টিয়া আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। পাকিস্তানিরা যশোর সেনানিবাস থেকে অস্ত্র ও লোকবল এনে কুষ্টিয়ায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে। অপরাশেন শুরু হলে যাতে তারা যশোরে পশ্চাৎপসরণ করতে না পারে সেদিক বিবেচনা করে সব পথে তিনি শক্ত প্রতিরোধ তৈরি করেন। ১ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলাকে শত্রæমুক্ত করেন।
সমগ্র কুষ্টিয়া মুক্ত হওয়ার পর এই এলাকা নিরাপদ স্থান বিবেচনা করেই মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় ১৭ এপ্রিল সম্ভব হয়েছিল মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক শপথ অনুষ্ঠান। যেখানে চুয়াডাঙ্গাকে যুদ্ধরত বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান করে যুদ্ধ পরিচালনার প্রয়োজনে প্রাথমিকভাবে ৪ জনকে আঞ্চলিক অধিনায়ক ঘোষণা করে, তাঁদের একজন আবু ওসমান চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর ১১ এপ্রিল ১৯৭১-এর প্রথম বেতার ভাষণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে চারজন আঞ্চলিক অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেন তাদের একজন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মেহেরপুরের অন্তর্গত বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নবগঠিত মন্ত্রী পরিষদের শপথ গ্রহণোত্তর তাঁদেরকে এক প্লাটুন সৈনিক দ্বারা তিনি গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তখন বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করা হয় ‘মুজিবনগর’।
মে মাসের শেষার্ধে প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী দক্ষিণপশ্চিম রণাঙ্গনকে দুই ভাগ করে ৮নং ও ৯নং সেক্টরদ্বয় গঠন করেন এবং ৮নং সেক্টরের দায়িত্বে আবু ওসমানকে নিয়োগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে সময় ওই সেক্টরের অপারেশন এলাকা ছিল কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা। মে মাসের শেষে অপারেশন এলাকা সংকুচিত করে কুষ্টিয়া ও যশোর, খুলনা জেলা সদর, সাতক্ষীরা মহকুমা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে এই এলাকা পুনর্গঠন করা হয়। ১১ আগস্ট আবু ওসমান চৌধুরীকে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তিবাহিনীর সদর দফতর মুজিবনগরে এসিসট্যান্ট চিফ অব স্টাফ (লজিস্টিকস) এর দায়িত্ব দেয়া হয়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর এম এ মঞ্জুর। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ মুক্ত হয়। তাঁর স্ত্রী নাজিয়া খানমও সে সময় রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে খাবার ও পানীয়, টাকাপয়সা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রয়োজনে ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ পাহারা দেওয়ার মতো কাজ করেছেন সাহসিকতার সঙ্গে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবু ওসমান চৌধুরীকে ২০ জুলাই ১৯৭২ লেঃ কর্নেল র্যাংকে পদোন্নতি দিয়ে আর্মি সার্ভিস কোরের (এএসসি) পরিচালকের দায়িত্ব দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।। ঐ পদে ৩ বছর চাকুরি করার পর ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরের শেষ মুহূর্তে স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি মোসতাক আহম্মেদ কর্তৃক নিয়োজিত তৎকালীন সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল জিয়াউর রহমান তাঁকে অন্যায়ভাবে অকালীন অবসর প্রদান করেন। এর আগে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী বিদ্রোহের আড়ালে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস তখন তুঙ্গে। পাকিস্তানী হানাদারদের বুলেট থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া আবু ওসমানকে তৎকালীন গুলশানের বাড়িতে হত্যা করতে আসে সিপাহীরা। আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সমর্থনই ছিল তাঁর অপরাধ। সিপাহীদের ধারণা তিনি হয়তো বাসার ভিতরেই কোথাও লুকিয়ে আছেন। তাই প্রত্যেকটা ঘরের আনাচে কানাচে তারা চালাতে থাকে বেপরোয়া গুলি। বাড়িতে না থাকায় তিনি সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও নিহত হন তাঁর স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা নাজিয়া ওসমান।
পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন আবু ওসমান চৌধুরী। তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানের পদেও ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে আবু চৌধুরীকে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান (১৯৯৭-২০০০) করা হয়। পরে তাকে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত)। এছাড়া একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
অবসরকালীন তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপট ও প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার এক দুঃসাধ্য কাজে মনোনিবেশ করেন। অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ১৯৯১ সালের ৭ মার্চ তিনি জাতিকে উপহার প্রদান করেন ১৯৪৭ এর স্বাধীনতা থেকে ১৯৭১ এর স্বাধীনতায় উত্তরণের ধারাবাহিক ইতিহাস সম্বলিত এক অমূল্য গ্রন্থ- ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। জাতিকে উপহার দেওযা অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য পুস্তক হিসেবে সাংবাদিক ও শিল্পসমালোচক রফিকুল ইসলাম তাঁকে নিয়ে লিখিত ‘হি ফরগেট ফর দি মাদারল্যান্ড’ নামক স্বল্প দৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র অসলো থেকে স্বর্ণপদকে পুরস্কৃত হয়। তাঁর নিজ উপজেলা ফরিদগঞ্জ সদরে তিনি একটি অপূর্ব দৃষ্টিনন্দন শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেন। তাঁর অন্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে, এক নজরে ফরিদগঞ্জ; ১৯৯৬ সালের ১৯ এপ্রিল প্রকাশিত, সময়ের অভিব্যক্তি; ২ জুলাই, ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত, সোনালী ভোরের প্রত্যাশা; ২ আগস্ট, ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত এবং বঙ্গবন্ধু : শতাব্দীর মহানায়ক।
তিনি অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৪ সালে আবু ওসমান চৌধুরীকে স্বাধীনতা পদকে ভ‚ষিত করা হয়। ২০১২ সালে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ঢাকা কর্তৃক গুণীজন সংবর্ধনায় স্বর্ণ পদক লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পুরস্কৃত হন। ১৯৯৩ সালে ইউনিভার্সিটি কর্তৃক সম্মাননা ও স্বর্ণ পদক পান এবং ফরিদগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। এছাড়া তিনি আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
২০২০ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে রাজধানীর ঢাকা সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ২০০৭ সাল থেকে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ১৯৭১ বাংলাদেশের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ধনসম্পদ গড়ার প্রতি তাঁর ছিল না কোনো মোহ। ঘরভাড়া ও সরকার থেকে প্রাপ্ত অল্প পেনশন আবু ওসমান চৌধুরীর আয়ের উৎস ছিল। শেষ বয়সে তিনি স্বপরিবারে রাজধানীর ধানমন্ডিতে থাকতেন। মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের সাহসিক কমান্ডার ও ভাষাবীর, বাংলাদেশ গড়ার পেছনে যাঁর অবদান গৌরবের। শিশুকালে মা ও অসময়ে স্ত্রীকে হারিয়ে জীবনের বড় অংশটাই কেটেছে তাঁর বেদনাবিধূর একাকিত্বে। সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব পেয়েও দেশ ও দশের কল্যাণের জন্য সব লোভই তাঁর কাছে পরাভ‚ত হয়েছে। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন অটুট থাকবে সগৌরবে সুউচ্চে মুক্তিযুদ্ধের এই সেক্টর কমান্ডারের নাম।