জন্মভূমি রিপোর্ট : মুখি কচুর চাষ অল্প পুঁজিতে অনেক লাভ। মুখি কচু একটি উৎকৃষ্টিমানের সবজি। অল্প পুঁজিতে লাভজনক মুখি কচুর চাষ। অল্প পরিশ্রমে অধিক পরিমাণে কচুর মুখী ফলানো সম্ভব। ক্ষেতে ঘেরা বেড়ার প্রয়োজন হয়না। সঠিক ভাবে পরিচর্চা করতে হয়। মুখী কচু একটি উচ্চফলনশীল ও দীর্ঘমেয়াদি ফসল। কচুর মুখি সাধারণত কচু ও বন্নি কচু নামে পরিচিত। প্রতি বিঘায় বিক্রি ৮০হাজার থেকে ১লাখ টাকা।
সূত্র জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প ডুমুরিয়ার বারাতিয়া ও খর্নিয়া গ্রামে ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পশ্চিম সোনাবাড়িয়া ৩০জন কৃষক ৩০টি প্রদর্শনী প্লটে ৩০ বিঘা জমিতে মুখি কচুর চাষ করে লাভবান হয়েছেন। মার্চ মাসে এর আবাদ করা হয়েছে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে কৃষক প্রতিকেজি পাইকারী ৪০টাকা দরে বিক্রি করা শুরু করেছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজি ৭০-৮০টাকা দরে বিক্রি করেছেন। প্রতি বিঘায় ৫০মন ফলন হয়েছে। বিক্রি ৮০হাজার থেকে ১লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, সবজির মধ্যে কচুর মুখি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। মুখি কচু সবার কাছে খুবই পরিচিত একটি সবজি। কচুর মূল থেকে শুরু করে কচুর কান্ড, পাতা, ফুল, লতি সবকিছুই খাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতে কচুর মুখি চাষ করা যায় । কচুর মুখি, কচুর পাতা, কচুর ফুল, কচুর লতি এবং কচুর ডাটাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারি। কচুর মুখিতে প্রচুর পরিমাণ শ্বেতসার, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস এবং ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। কম পরিশ্রমে অল্প সময়ে কচুর মুখি চাষ করা সম্ভব ।
বাংলাদেশের কৃষি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে নুতন ভাবে আধুনিক চাষে। আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করে সফল হচ্ছে অনেক কৃষক। সামান্য সার প্রয়োগ করতে হয়। এ ছাড়া আর কিছুর প্রয়োজন হয়না।
ডুমুরিয়ার বরাতিয়া গ্রামের কৃষক প্রফুল্ল মন্ডল ও কলারোয়ার পশ্চিম সোনাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মো. ইসাহাক আলী বলেন, আমরা এই প্রকল্প থেকে বিনা মূল্যে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ পেয়েছি। স্বল্প খরচে অনেক লাভ। প্রতি বিঘায় ৮০হাজার থেকে ১লাখ টাকা বিক্রি হবে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বাইরেও বিক্রি করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস বলেন, মুখি কচু চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। ভালো দামে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও বিক্রি করছেন। কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাড়িয়েছেন। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কোন জমি পতিত না রেখে আবাদ করা হয়েছে। সে মোতাবেক কৃষকদের ফসল ফলাতে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।