
ডেস্ক রিপোর্ট : সুন্দরবন বিনাশী কয়লা ভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুত বন্ধ করার দাবী জানিয়েছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পাশাপাশী জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাবহার না করারও আহবান জানান তারা। ঋণ বাতিল করে জলবায়ু খাতে অর্থ যোগানেরও দাবী করেন তারা। এ সংগঠনগুলোর দাবী, মুনাফার জন্য নয়, মানুষের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন করা এবং দ্রুত ও ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরে অর্থায়ন নিশ্চিত করার দাবী তোলেন।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় মোংলার মিঠাখালী বাজারে গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন পালন উপলক্ষে সাইকেল র্যালির উদ্বোধনী সমাবেশে থেকে এমন দাবী করা হয়। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এ সাইকেল র্যালির আয়োজন করে। কানাডায় জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলন, জার্মানিতে ইউএনএফসিসিসি এর ইন্টারসেশনাল এবং স্পেনে জাতিসংঘের উন্নয়ন বিষয়ক অর্থনৈতিক সম্মেলন’র প্রেক্ষাপটে এ গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন পালন করা হয়।
সাইকেল র্যালি সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা-র নেতা মোঃ নাজমুল হক। এসময় বক্তব্য রাখেন, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নেতা জানে আলম বাবু. মোঃ হাছিব সরদার, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র মারুফ বিল্লাহ, পশুর রিভারের মেহেদী হাসান বাবু, ছাত্রনেতা শেখ সিফাতুল্লাহ শুভ, মঈন গাজী, আরাফাত আমিন দূর্জয় প্রমূখ।
জানে আলম বাবু বলেন, কয়লা বিদ্যুৎ বন্ধ করে জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করা জরুরী। তা না হলে আমাদের আগামীর প্রজন্ম বেড়ে ওঠা দায় হয়ে পরবে।
মোঃ হাছিব সরদার বলেন, ধনীদের জন্য নয়, সর্বত্র মানুষের চাহিদা, জনস্বার্থ, অধিকার ও আকাংখাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পন এবং বিনিয়োগ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, পৃথিবী পুনরুদ্ধারের জন্য, অধিকার রক্ষার জন্য, ন্যায় বিচারের জন্য আমাদের জেগে উঠতে হবে। গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন পালন উপলক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনকে মানবাধিকার হিসেবে গণ্য করা, পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখনই বন্ধ করা, ঋণ নয় আমরা জলবায়ু ক্ষতিপূরণ ক্ষতিপূরণ চাই, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদী ভাঙ্গন, লবণাক্ততা ও জলবায়ু উষ্ণতা থেকে বাঁচতে চাই। পৃথিবীর রক্তক্ষরণ বন্ধে গ্লোবাল সাউথ থেকে গ্লোবাল নর্থ পর্যন্ত সম্পদগুলিকে একত্রিত করে দায়িত্বশীলতার সাথে বন্টন করার দাবী জানান এ সংগটনের নেতৃবৃন্দরা।