
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : উত্তর বঙ্গোপসাগরে মোটামুটি সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর অগ্রভাগের প্রভাবে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, ঝড়ো বাতাস ও হালকা বৃষ্টিপাত বয়ে যেতে শুরু করেছে। আগামী দুই তিন দিন ধরে উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে হালকা-মাঝারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া চলতি মাসের শেষের (২৫জুনের পর) দিকে মাঝারী-ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। রবিবার ভোর থেকে মোংলায় আকাশ মেঘলার পাশাপাশি থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে শুরু করেছে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য বৃষ্টিপাত না হলেও উপকূলীয় মোংলায় গত বৃহস্পতিবার ১লা আষাঢ়ের দিনে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাতে তখন কমেনি তাপপ্রবাহ। কিন্তু রবিবার আষাঢ়ের চতুর্থ দিনের বৃষ্টি-বাতাসে তাপমাত্রা কমে জনজীবনে প্রশান্তি নেমেছে।
এদিকে মেঘ, বৃষ্টি ও বাতাসে অস্বস্তিকর গরম থেকে স্বস্তি মিললেও বিদ্যুৎদের লোডশেডিং ভোগান্তী বাড়িয়েছে বাড়ীঘর, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কলকারখানার। দীর্ঘ সময়ের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় রান্নাবান্না, দোকানপাটে বেচা-কেনা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
রবিবার সকাল ৯টায় বিদ্যুৎ যাওয়ার পর দুপুর পৌনে ১টা বন্দর ও পৌর শহরে বিদ্যুৎ আসে। দিনে-রাতে কমপক্ষে ৫/৭ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। আর বৃষ্টি-বাতাস হলে তো কথা নেই, এতে মুহুর্তে মুহুর্তে বিদ্যুৎ চলে যায় মোংলায়।
পিডিবি’র মোংলার আবাসিক প্রকৌশলী এইচ এম ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় প্রয়োজন মেটাতে বাধ্য হয়ে দিনে-রাতে ২৪ঘন্টায় অনন্ত তিন ঘন্টার লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ো হাওয়ায় গাছ ও গাছের ডালপালা পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং তারের ক্ষতি, শর্ট সার্কিট ও ফিউজ কেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক করে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হচ্ছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা (সেকেন্ড অফিসার) অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় থাকায় উপকূলে মেঘ, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। এতে তাপমাত্রা কমে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। আর উপূলের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে এমন হালকা-মাঝারী বৃষ্টিপাত হবে আগামী দুই তিন দিন। এরপর ২২ থেকে ২৪জুনের মধ্যে মাঝারী-ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, বৃষ্টিপাতে তাপমাত্রা কমবে, আবার বৃষ্টি কমে গেলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। তবে বর্তমানে তুলনামূলক খুলনা বিভাগে মাঝারী-ভারী বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।