মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগরে পৃথক অভিযানে ১২ বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার বামন্দী ও মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৯টি ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা উদ্ধার করা হয়। গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক ও মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, উপজেলার বামন্দী দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় সরকার বিরোধী বৈঠক চলছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই ইসরাফিল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে বামন্দী নিশিপুর গ্রামের শাওন, মহিবুল ইসলাম পলাশ, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহ আলম, আশরাফুল ইসলাম, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কামরুজ্জামান, বেতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হক, কড়ুইগাছী গ্রামের মনিরুজ্জামান, সাহারবাটি গ্রামের আমানুরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা সকলেই বিএনপির নেতাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, ৫টি ককটেল, ২টি দেশীয় অস্ত্র (রানদা) ও বাঁশের লাঠিসোঁটা উদ্ধার করা। এ ঘটনায় বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই ইসরাফিল বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১২ তাং ১০.০২.২৩ ইং। এদিকে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদি রাসেল জানান, গৌরিনগর গ্রামের সড়কের পাশে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক চলাকালে পুলিশের অভিযানে বিদ্যাধরপুর গ্রামের আব্দুল খালেক, জয়পুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, শিবপুর গ্রামের শহিদুল হাসান রাহুল ও মোনাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আজিম উদ্দিন গাজীকে আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুজিবনগর থানার এস আই সেকেন্দার আলী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অঅরো ২০/২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ০৪ তাং ১০.০২.২৩ ইং। আটককৃতদের শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি জানান। তিনি আরও জানান, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচী বানচাল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীকে হয়রানী করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।