মোঃহাসান গাজী, মোংলা : মোংলা বন্দরের পশুর নদের নৌ চ্যানেলে ৯৫০ মেট্রিকটন জ্বালানি কয়লা নিয়ে ‘এম ভি ইশরা মাহমুদ’ নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এসময় জাহাজের ১১ নাবিক সাঁতরিয়ে কূলে উঠে গেলে প্রাণে বেঁচে যান তারা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পশুর নদের চরকানা এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। বন্দরের ৬ নম্বর মুরিং বয়ায় অবস্থান করা মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী মার্চেন্ট শিপ ‘এমভি পারাস’ থেকে কয়লা বোঝাই করেছিল ওই কার্গো জাহাজ। যশোরের নওয়পাড়ায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে নেওয়া হচ্ছিল এই জ্বালানি কয়লা।
কার্গো জাহাজ এম ভি ইশরা মাহমুদের মাষ্টার কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য যাচ্ছিলেন। ওই দিন পশুর নদের বানিশান্তা বাজার বয়ায় নোঙ্গরে রাখে তার কার্গো জাহাজ। এরপর জাহাজটিতে তলাফেটে পানি ঢুকতে শুরু করলে সেখান থেকে দ্রুত ছেড়ে এসে পশুর নদের চরকানা এলাকায় আসা মাত্রই ডুবতে থাকে। এসময় জাহাজে থাকা ১১ নাবিক দ্রুত সাঁতরিয়ে কূলে উঠে প্রাণ বাঁচান।
এরপরই ডুবে যাওয়া এমভি ইশরা মাহমুদ কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ করে পাশে অবস্থান করা একটি বার্জে রাখতে শুরু করে মালিকপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজটি পশুর নদের চরে ডুবে যাওয়ায় বন্দরের নৌ চ্যানেল নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। দূর্ঘটনার পর পশুর চ্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কয়লা নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, কয়লা একটি বিষক্ত ময়লা। এই কয়লা জোয়ার ভাটায় নদীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে জলজ প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত এই কয়লা অপসারণ করাসহ কয়লাবাহী জাহাজের চালকদের আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।