
জন্মভূমি রিপোর্ট : কম দামে জমি কিনে সুযোগ বুঝে চড়া দামে বিক্রি করাই তার নেশা। আর জমি দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়াও তার যেন পেশা। এভাবে প্রতারণা করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন কামরুল শিকদার নামে এক প্রতারক। কামরুল মোংলা পৌর শহরের কুমারখালী এলাকার মৃত কাদের শিকদারের ছেলে।
কামরুল শিকদারের নামে মোংলা থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সেই সকল অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জমি দেয়ার কথা বলে টাকা নেয় কামরুল। কিন্তু জমি না দিয়ে নানা রকম তালবাহানা করে এখন গাঁ ঢাকা দিয়ে আছেন সে।
ভুক্তভোগী শহিদুল ভূইয়া, মোঃ সুজন, মোঃ শুকুর আলী ও মোঃ রানাসহ বেশ কয়েকজনে বলেন, জমি কিংবা টাকা ফেরত চাইলে আজ না হয় কাল দিবো এমন একাধিকবার ওয়াদা ও আশ্বাস দিলেও এখন সে তার ফোন বন্ধ রেখেছেন। তার বাড়ীতে গেলে ঘরে তালা বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তাই এমতাবস্থায় থানা পুলিশের দারস্থ হয়েছেন তারা।
মোঃ দুলাল, আকবর, মাহবুব ও বেল্লালসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের কাছ থেকে কম দামে জমি দেয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন কামরুল। বছরখানেক সময় ধরে সে মোংলার বাড়ী ছেড়ে খুলনায় তার শ্বশুর বাড়ীর এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। আর এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে অভিযুক্ত কামরুল শিকদার বলেন, আমি বর্তমানে বিপদগ্রস্ত, তাই আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝির দিকে তাদেরকে কিছু কিছু করে টাকা দিতে পারবো। এই মুহুর্তে তাদেরকে টাকা ফেরত দেয়ার মতো কোন অবস্থা ও পরিস্থিতি আমার নেই।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে,এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশ্যই কামরুল শিকদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় নেই, তাই অভিযোগের অগ্রগতির বিষয় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।