
মোংলা প্রতিনিধি: মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুক্রবার দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায় ৩৬.৯ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির দেখা না মেলায় দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গরমে কষ্ট পাচ্ছে দিনমজুর, শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। গেল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবেও কোন বৃষ্টিপাত হয়নি মোংলার উপকূলে। মোখা’র পর বুধ ও বৃহস্পতিবার দুইদিন ঝড়ো বাতাস ও সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও মুলত তাতে দাবদাহ কমেনি। এ এলাকায় মার্চের শেষ ভাগ থেকে চলে আসা তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে এপ্রিলে কয়েক দফায় দেশের সবোর্চ্চ ও দ্বিতীয় সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলাতে। এরপর শুক্রবার আবারো দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিলো মোংলাসহ সাগর—সুন্দরবন উপকূলে। ফলে চলমান তাপপ্রবাহ বজ্র বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মো: হারুন অর রশিদ বলেন, খুলনা বিভাগের কয়েক জায়গায় বিকেলে ও সন্ধ্যায় ঝড়ে বাতাস এবং বজ্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মোংলাসহ আশপাশ এলাকার উপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় তাপপ্রবাহ বাড়ছে। চলমান তাপপ্রবাহে আক্রান্তের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: শাহীন বলেন, তাপপ্রবাহে শরীর ঘেঁমে পানি শুণ্যতায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, পেটের সমস্যা, তীব্র মাথা ব্যথা ও কিডনির সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে সাম্প্রতিককালে তীব্র মাথা ব্যথা নিয়ে বেশি রোগী আসছেন হাসপাতালে। আর যারা আসছেন তারা মুলত রোদে কাজ করে থাকেন এমন লোকের সংখ্যা বেশি। রোদে কাজ করায় ঘাঁমে শরীরের পানি শুণ্যতা দেখা দিলে তীব্র মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। আর তাপপ্রবাহের মধ্যে নিতান্ত কাজ না থাকলে রোদে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, রোদে বের হলেও ছাতার ব্যবহার ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলেই তাপপ্রবাহের প্রভাব থেকে লোকজন সুস্থ্য স্বাভাবিক থাকতে পারবেন বলে জানান তিনি।