মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোংলায় ৯৫০প্যাকেট বিদেশী কেন্ট সিগারেট পাচারকালে এক চোরাচালানীকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। এ সময় অপর দুই চোরাচালানী পালিয়ে যান। সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশী জাহাজ থেকে পাচারকালে সিগারেটসহ এই চোরাচালানীকে আটক হয়। পালিয়ে যাওয়া চোরাচালানীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে নিয়মিত মাদক উদ্ধার ও চোরাচালান রোধে শহরতলীর কানাইনগর এলাকায় পুলিশের টহল অভিযান চলাকালে গোপনে খবরে বিদেশী সিগারেট পাচারের বিষয়ে। খবর পেয়েই রাত ১০টার দিকে কানাইনগর এলাকায় টহলে থাকা এসআই মামুন শেখ, মিরাজ শেখ ও জসিম উদ্দিন কানাইনগর গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন পশুর নদীর বেড়ী বাঁধে অভিযান চালান। তখন অভিযানকারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে রকমত উল্লাহ হাওলাদার ওরফে সুজন (২৮) নামের চোরাচালানীকে আটক করেন। তখন পালিয়ে যান চোরাচালানী ইদ্রিস হাওলাদার (৫৪) ও আব্দুল হাই (৪৭)। পরে আটককৃতের কাছ থেকে ৫শ প্যাকেট ও পালিয়ে যাওয়াদের ফেলা যাওয়া ৪৫০প্যাকেট বিদেশী কেন্ট সিগারেট জব্দ করা হয়। সিগারেটগুলো খাকি রংয়ের কাগজের প্যাকেটে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় ছিলো। পরে এ ঘটনায় রাতেই থানায় চোরাচালান দমন আইনের ১৯৭৪সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এক আসামী আটক ও দুইজন আসামী পলাতক রয়েছেন। এ সকল আাসামীদের বাড়ী মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের কানাইনগর এলাকায়।
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, বিদেশী সিগারেটসহ আটককৃত আসামী সুজনকে শনিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতক দুই আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। তিনি আরো বলেন, মুলত সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশী জাহাজ থেকে নদী পথে এ সিগারেট পাচার করছিলো স্থানীয় একটি চোরাচালানী চক্র। মোংলা বন্দরকে ঘিরে চোরাচালানসহ সকল ধরণের অপরাধমুলক কর্মকান্ডর কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কোনভাবেই এ বন্দরের দুর্নাম হোক এমন কাজের সুযোগ কেউ পাবেনা পুলিশের চলমান তৎপরতার কারণেই। যারা এসব কর্মকান্ডে জড়িত তাদেরকে এপথ থেকে সরে আসার আহবাণ জানান তিনি। অন্যথায় কঠোর থেকে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলেও জানান তিনি।