ডেস্ক নিউজ : শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলোতে পুলিশের পাশাপাশী নিরাপত্তা জোরদার ও টহল প্রদান করেছে মোংলা কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরা। পুজার সময় দুষ্কৃতিকারীদের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুরু থেকেই কাজ করছেন তারা। আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কর্মকর্তা সহ একটি টহল দল।
কোস্টগার্ড জানায়, শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মোংলায় ধর্মীয় উপাসনালয়, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও উপকূলীয় অঞ্চলের সর্বসাধারণের জান-মাল রক্ষায় তৎপর রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি উপকূলীয় এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা প্রদান, ধর্মীয় উপাসনালয়, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সর্বসাধারণের জানমাল রক্ষায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে কোস্ট গার্ড। তাই উপকূলীয় অঞ্চল মোংলায় বসবাসরত হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহা উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ধর্মীয় উপাসনালয়সহ প্রায় ১৩০টি পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কর্মকর্তা লে. মুশফিক উস সালেহীন বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরণের নাশকতা থেকে রক্ষা, উপাসনালয়সমূহ নিরাপত্তা প্রদান এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী। প্রতিমা বিসর্জনের সময় অতিউৎসাহী জনগণকে ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত নৌযানে উঠা থেকে বিরত রাখা, নৌযানে অবস্থানরত অবস্থায় সকলের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করা এবং সাঁতার না জানা ব্যক্তিকে নৌযানে না উঠার পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনামূলক প্রচারনাও করেছে তারা। এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জনের স্থানসমূহে নৌকা ডুবির মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনায় উদ্ধারে কোস্ট গার্ডের বিশেষ ডুবুরীদল সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানায় তারা। কোস্টগার্ডের এধরনের জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম প্রতীমা বিসর্জন পর্যন্ত তাদের টহণ অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি পলাশ দে, সাধারন সম্পাদক সুনিল রায় ছাড়াও সন্তষ মন্ডল, অধ্যক্ষ সুনিল কুমার বিশ্বাস, পান্না লাল দে, রমেশ মন্ডল, পুরহিত পলাশ চক্রবত্রী সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।