বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন, বর্তমান মেয়র জুলফিকার আলীর অপসারণ ও প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে মোংলা পৌরসভার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ই¯্রাফিল ইজারাদার এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ ই¯্রাফিল ইজারাদার বলেন, ২০১১ সালের নির্বাচনে জুলফিকার আলী মোংলা পোর্টের মেয়র নির্বাচিত হন। তার মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হওয়ার কিছু দিন আগে ভুয়া সীমানা জটিলতা দেখিয়ে মেয়র সমর্থিত সুবিধাভোগী লোক দিয়ে মামলা করে পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ করে রাখেন। জুলফিকার আলীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করার জন্য চিঠি দিয়েছেন। সীমানা জটিলতাসহ অন্যান্য বিষয়ের উপর সকল মামলা উচ্চ আদালত থেকে খারিজ হলেও নির্বাচনের কোন উদ্যোগ নেয়নি কমিশন। পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে অতিদ্রæত পৌরসভার বর্তমান মেয়কে অপসারণ ও প্রশাসক নিয়োগ করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
মোঃ ই¯্রাফিল ইজারাদার আরও বলেন, মোংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী প্রথম শ্রেণির মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর থেকে জনগণকে কুক্ষিগত করে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার চাই।
এদিকে মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে উত্তাপিত এ সব অভিয়োগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত দাবি করে জানান, আমার মেয়াদ কালেই মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ মোংলা পৌরসভায় শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় দু’বার তলিয়ে যেতো রাস্তা ঘাটসহ পৌরসভার নিম্মাঅঞ্চল। ছিলোনা সুপেয় পানির ব্যবস্থা। আমি এ সমস্যার সমাধান করেছি। মোংলা আজ প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। আমি বা আমার কাউন্সিলররা কখনো কোন দুর্নতির আশ্রয় নেয় নি। আমি বিএনপির নেতা হওয়ায় দুর্নীতি করলে আমার বিরুদ্ধে দুদকসহ কোন মামলা দুর্নীতির করেনি কেন? আমিও মোংলা পৌরসভার নির্বাচন চাই। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে মেয়র পদে র্নিবাচন করতে ইচ্ছুক মুক্তিযোদ্ধা ই¯্রাফিল ইজারাদার সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে দাবি করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত