জন্মভূমি ডেস্ক : মোংলায় বালু বোঝাই একটি বাল্কহেড (ছোট কার্গো) জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোরে মোংলা ঘষিয়াখালী নৌ ক্যানেলের কুমারখালীর মাদ্রাসা রোড সংলগ্ন এলাকায় নদীর চরে আটকে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে জাহাজে থাকা ৬ নাবিক সাতরে কিনারে উঠতে সক্ষম হয়েছে। বালু অপসারণ করে বাল্কহেডটি দ্রুত উদ্ধার ও ঝুকি মুক্ত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বাল্কহেড জাহাজটির মালিক ও স্থানীয়রা জানায়, সিলেটের ছাতক থেকে ১১ হাজার ৬শ সিএফটিতে ৪৫০ মেট্রিক টন লাল বালু বোঝাই করে গত ১৫ অক্টোবর রাতে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমবি সারহাজ নামের একটি বাল্কহেড (ছোট কার্গো) জাহাজ। পন্যগুলো খালাসের জন্য (২০ অক্টোবর) রোববার রাতে মোংলা বন্দরের ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলে কুমারখালীর মাদ্রাসা রোড় সংলগ্ন এলাকায় নোঙ্গর করে। সোমবার ভোরে ওই ক্যানেল দিয়ে গ্যাস বোঝাই একটি বানিজ্যিক জাহাজ স্বজোরে চালিয়ে যাওয়ার সময় নোঙ্গর ছিড়ে নদীর চরে আটকে যায়। এসময় বাল্কহেডটির পিছনের মেশিনরুমসহ বিভিন্ন অংশে পানি ঢুকে ঢুকে যায়। ভেসে যায় নাবিকদের থাকার আসবাবপত্রসহ মুল্যবান মালামাল। তবে বাল্কহেডটিতে থাকা মাস্টারসহ ৬ নাবিক দ্রুত কিনারে উঠতে সক্ষম হয়েছে। নাবিকরা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও নৌযানটি উদ্ধারের জন্য দুর্ঘটনা কবলীত জাহাজ থেকে দ্রুত বালু অপসারনের কাজ চালাচ্ছে মালিক পক্ষ। সকাল ১০টা থেকে শতাধিক শ্রমিক ও বেশ কয়েকটি নৌযান নিয়ে দ্রুত বালু অপসারনে কাজ করছে তারা। তবে নদীতে ভরা জোয়ার আসার আগে বালু সরাতে না পারলে বাল্কহেডটি সম্পুর্ন ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা বলে জানায় স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শীরা। তবে ঘষিয়াখালীর মুল চ্যানেল ঝুকিমুক্ত থাকায় মোংলা বন্দর থেকে পন্য বোঝাই লাইটার বা কার্গো জাহাজ ক্যানেল দিয়ে চলাচল করছে স্বাভাবিক গতিতে। এতে নৌযান আসা-যাওয়ায় কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে জানায় মালিক পক্ষ।
বাল্কহেড মালিক আ: লতিফ সরদার বলেন, ভোরে এই চ্যানেল দিয়ে একটি গ্যাসের জাহাজ দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাওয়ার ফলে নোঙ্গর ছিড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্রই অন্য নৌযানে বালু খালাস করে জাহাজটি উদ্ধারে চেষ্টা চলাচ্ছি। আশা করছি জোয়ার আসার আগেই প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ বালু খালাস করতে পারলে জাহাজটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারবো এবং পরে সম্পুর্ন উদ্ধার করা সম্ভাব হবে। তবে বড় ঝুকি ও দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
মোংলা বন্দরের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নৌপথে যাতায়াতের একমাত্র যোগাযোগ রুট মোংলা ঘষিয়াখালী নৌক্যানেলটি। নৌযান ডুবির ফলে এটি বন্ধ হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পরবে মোংলা বন্দর ও ব্যাবসায়ীরা।