
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি :বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে (পাগল)’র ফুটফুটে এক নবজাতক মেয়ে সন্তান প্রসব হয়েছে। পাগলি আসমা মা হলেও বাবা হয়নি কেউ। মা ও সন্তানের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা প্রশাসন। পাগল থাকায় নিজের নাম-পরিচয় ও বাচ্চার পিতৃপরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এ খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে দেখতে আসেন শত-শত মানুষ। নবজাতক শিশু ও তার মা সুস্থ রয়েছে। শিশুটি এখন তার মায়ের বুকের দুধ পান করছেন। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান, চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির, ইঞ্জিনিয়ার শুভংকর রায় হাসপতালে গিয়ে মা ও নবজাতক শিশুটির খোঁজ খবর নেন।
জানাগেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামে মোস্তফা মোল্লার বাড়িতে আসমা বেগম (৩০)। নামের ভারসাম্যহীন ভরঘুরে এক পাগলীর গত রোববার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তান প্রসব করান নবজাতক শিশুটির মা পাগলি আসমার কথিত মতে তার স্বামীর নাম অমিত হাসান ও শাওন গ্রাম ঠিকানাহীন।
মোস্তফা মোল্লার স্ত্রী রানী বেগম জানান, গতকাল দুপুরে ভারসাম্যহীন ওই মহিলা তাদের বাড়ির সামনে থেকে চিৎকার করে আমাকে বাঁচাও। পরে তাকে তার বাড়িতে নিয়ে সন্তান প্রসব করিয়ে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। নবজাতক ওই শিশুটিকে আমি মানবিক হিসেবে দত্তক নিতে চাই।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শেখ নাদিরুজ্জামান আকাশ বলেন, গতদিন দুপুরে নবজাতক শিশু ও তার মাকে নিশানবাড়িয়া থেকে এম্বুলেন্স যোগে একজন মেডিকেল অফিসার ও নার্স হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। নবজাতক শিশুটি স্বাভাবিক জন্মগ্রহণ করেছে। তার গায়ের রং স্যামলা উচ্চতা ও ওজন ঠিক রয়েছে। মা ও সন্তান দু’জনই সুস্থ রয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তায় তাদের সার্বক্ষনিক দেখভাল করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, গত রোববার দুপুরে নিশানবাড়িয়া চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম ভারসাম্যহীন নারীর নবজাতক সন্তান প্রসবের বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষনিক শিশু-মায়ের সুস্থতা নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানানো হয়। নবজাতক শিশুটির দত্তক দেওয়ার বিষয়টি সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।