মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট )প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল ও ভুয়া সনদ দিয়ে চাকুরী করার দায়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোফাজ্জেল হোসেন নামক এক মাদ্রাসা শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ,উপজেলার ধরাদোয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী আক্কাসের এমপিওর কপিতে জন্ম তারিখ ১৬ই জুন ১৯৭০ ইং এবং মূল সনদে জন্ম তারিখ ১২ জুন ১৯৭০ ইং উল্লেখ রয়েছে।
তিনি কাউখালী মহাবিদ্যালয় থেকে তৃতীয় বিভাগে বিএ পাস করে ২৩ জুলাই ১৯৯৪ সালে সহকারি শিক্ষক হিসেবে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে পদের যোগ্যতা ও সনদ ছাড়াই তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে খুলনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে পুনরায় বিএ পরীক্ষা দিয়ে ইংরেজিতে অকৃতিকার্য হয়েও তিনি থেমে থাকেননি।
উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য ২০০৮ সালে রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা থেকে সনদ ক্রয় করে একই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে উন্নিত হন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হওয়ায় ওই একই সনদ দিয়ে ২০১৩ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। প্রধান শিক্ষক আলী আক্কাস গত ২৫শে জানুয়ারি ২০২২ ইং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ কর্মচারী তথ্য বিবরণী (প্যাটার্ন ভিত্তিক) যে তথ্য দাখিল করেছেন তাতে তিনি নিজে দাখিল পাস দ্বিতীয় বিভাগ ১৯৮৩ । আলিম পাস দ্বিতীয় বিভাগ ১৯৮৫। ফাজিল পাস প্রথম বিভাগ ১৯৮৭। বিএড প্রথম বিভাগ ২০০৮ সালে দেখিয়েছেন। বিগত ০৮-০৭-১৯৮৭ ইং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে সাব কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত মতে ১৯৮০ সাল হতে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ফাজিল পাসকে এইচ.এস.সি পাশের সমমান দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক আলী আক্কাস ১৯৮৭ সালে ফাজিল পাস দেখিয়েছেন । তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস তার নিজের বিএড পাশের কোনো সনদ নেই এবং ২০০৮ সালে রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা থেকে ক্রয়কৃত ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন বলে উপজেলার চিংড়াখালি গ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে বাগেহাট জেলা প্রশাসক বরাবরের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী আক্কাসের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে,তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি করেন।