মিজানুর রহমান,মোরেলগঞ্জ : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রভাবশালীদের বাঁধের কারনে কয়েকশত ধানি জমি অনাবাদী রয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা ও সঠিক সময়ে পানির অভাবে আমন কৃষকদের মাথায় হাত। সরকারী খাল আটকিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলেছে আমন নির্ভর চাষিদের।বাঁধের কারনে জলাবদ্ধতায় বিজতলা নষ্ট হয়ে যায়। সঠিক সময়ে জমি চাষাবাদ ও রোপন করতে পারে না। পর্যাপ্ত পানির অভাবে আমনের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।সৃষ্ট এমন পরিস্থিতিতে আমন চাষিরা পড়েছে চরম বিপাকে। এমনটাই ঘটেছে উপজেলার ১৪ নং বারইখালী ইউনিয়নের উঃসুতালড়ী ও দঃক্ষিন সুতালাড়ী গ্রামে।
সরেজমিনে দেখাগেছে এ ইউনিয়নের ৪নং ও ৮ নং ওয়ার্ডের উত্তর ও দঃক্ষিন সুতালড়ী গ্রামের নিশান বাড়িয়া খালে ও শেখ পাড়া খালের উপর একাধিক বাঁধ দিয়ে জনভোগান্তিতে ফেলেছে প্রভাবশালী মহলেরা।প্রশাসনের নেই কোন তদারকি। সরকারি খালে বাঁধ দেওয়ার ফলে দুই গ্রামের শত শত বাড়িঘর জোঁয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। বসত ঘর, উঠান, রান্নাঘর, গোয়াল ঘর, বাগান বাড়ি, ফসলী জমি ও মৎষ ঘের তলিয়ে যায় প্রতি অমাবস্যা- পুর্নিমায়। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে যায়। বৃষ্টি ও বন্যার পানি পয়নিষ্কাশন হতে পারছেনা। ফলে এখানকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলেন,আমরা আমন চাষ নির্ভর গরিব কৃষক। প্রভাবশালীরা একাধিক বাধ দিয়ে রাস্তা নির্মান করায় সময় মত পানি পাই না, ফলে বীজ তলা তৈরি করতে পারি না। আবার জলাবদ্ধতায় বীজতালা নষ্ট হয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারনে জমি চাষাবাদ করতে পারি না। যেটুকু জমি রোপন করছি তাও আবার পানির অভাবে বীজ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, মনিরুদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সামনের খালে রয়েছে পুল। কিন্তু প্রভাবশালী গ্রীক প্রবাসী পুল সংস্কার না করে খালে বাধ দিয়ে রাস্তা নির্মান করে জন ভোগান্তিতে ফেলেছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।সময় মত পানি সরবারহের অভাবে আমরা বিপদে আছি।আমরা প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি।
কৃষক আবুল কালাম বলেন, প্রভাবশালী কিছু কুচক্রিমহল সরকারি খাল আটকিয়ে আমন চাষি ও সাধারন জনগণের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে।শত শত বিঘা জমি পতিত রয়েগেছে। এখন পানির অভাবে মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে,ফলে ধান বের হতে পারবে কিনা আল্লাহই ভাল জানেন।প্রভাবশালীরা গরিব কৃষকদের পেটে লাথি মারছে। আমরা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী বলেন,আমরা বিষয়টি শুনেছি। সরকারি খালে বাধ দেওয়ার ফলে বেপারীর নামক মাঠে কয়েকশত বিঘা আমনি জমি পতিত রয়েছে। তদন্ত করে উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কমনা করা হবে। আর সরকারি খাল আটকানোর বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত