বাগেরহাট : কর্তৃপক্ষের অবহেলার ও উদাসীনতা কারনে মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে কীটনাশক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি মুদি দোকানে র্দীঘ দিন বিক্রি হচ্ছে কীটনাশক। যার কারনে স্কুল পড়ুয়া শিশুসহ এলাকার সাধারন জনগন রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকিতে দীর্ঘ দিন এ ব্যাবসা করলেও কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকা দেখে এলাকাবাসী হতবাগ। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের তেলীগাতী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিন তেলিগাতী পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আতিয়ার ষ্টোর নামে এক মুদিদোকানে দীর্ঘ দিন ধরে মোঃ আতিয়ার হাওলাদার এ ব্যাবসা চালিয়ে আসছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিন তেলিগাতী পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আতিয়ার হাওলাদারের একটি দোকান। সে দোকানে মুদি-মনোহরিসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। এসব খাবারের সাথে দোকানের গ্যালারিতে সাজানো রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার কিটনাশক। একই দোকানে মুদি-মনোহরিসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খাবার সাথে কীটনাশকের ভিডিও ও ছবি করতে দেখে সাংবাদিকের পরিচয় পাওয়ার পর তরিঘরি করে দোকানে রাখা তাক থেকে সব কীটনাশক দোকানের সাথে পিছনের বাড়িতে নিয়ে যায় আতিয়ার হাওলাদার। র্দীঘ দিন দোকানে মুদি-মনোহরিসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খাবার সাথে কীটনাশক বিক্রির কথা জানতে চাইলে, দোকানের মালিক আতিয়ার হাওলাদার অকপটে কিটনাশক বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন কিটনাশক বিক্রি করার লাইসেন্স আমার আছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপরে লেগেছে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিয়ারকে রক্ষা করতে বিভিন্ন ধরনের গল্প কাহিনীও তৈরী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই ইউপি সদস্য। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কীটনাশক বিক্রির জন্য কিছু স্বার্থ সাপেক্ষে কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়। আর এখানে আইনের তোয়াক্কা না করে কৃষি অফিস মোঃ আতিয়ার রহমানকে লাইসেন্স প্রদান করে। আতিয়ার এই লাইসেন্সের বলে শিশুদের স্কুলের পাশে মুদি দোকানে কীটনাশক বিক্রি করছে। যেখানে প্রতিনিয়ত স্কুলগামী শিশুরা খাবার ক্রয়ের জন্য আসে আর সেখানে বিক্রি হয় কীটনাশক। এতে দোকানে আসা ওই সব শিশুসহ এলাকার সাধারণ জনগনও রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকিতে বলে তারা জানান। এ বিষয়ে মোরেলঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, ওই ইউনিয়নের সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজির আহম্মেদের প্রতিবেদনের সাপেক্ষে আতিয়ার হাওলাদারকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। তিন বছর আগে আতিয়ারের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পূর্নরায় লাইসেন্স নবায়ন করেন। এসময় মুঠোফোনে কৃষি কর্মকর্তা বলেন উপ পরিচালকের কার্যালয় থেকে এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা ও দুই এক দিনের মধ্যে তদন্ত করবেন। এ বিষয়ে বাগেরহাটের কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে মানুষের খাবার আছে সে সব দোকানে কোনধরনের কীটনাশক বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। এখানে লাইসেন্স দেওয়ার কোন বিধান নেই। যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো আর কীটনাশকের দোকানের লাইসেন্স বালিত করা হবে।