মোরেলগঞ্জ সংবাদদাতাঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে যুগ যুগ ধরে ভাড়া ভবনে চলছে সাব রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম। নিজস্ব জমি থাকা সত্বেও সরকারি গুরুত্বপূর্ন এই দপ্তরটির নেই কোন নিজস্ব ভবন। ভাড়াকৃত ভবনে পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় জড়ো সরো হয়ে রেজিষ্ট্রি কার্য সম্পন্ন করতে হয়। নেই বসার ও টয়লেট সুবিধা। যা জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিত্ব নৈমিত্তিক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিজস্ব ভবন না থাকায় দেড় কি.মি পথ পারি দিয়ে রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম কার্য সম্পন্ন করতে হয়। দলিল লেখতে হয় একস্থানে, ব্যাংক ড্রাফ্ট করতে হয় অন্য স্থানে আর রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করতে হয় আরেক স্থানে। এ যেন এক ত্রিমুখী তীর্থ ভ্রমন। যা এখানকার মানুষদের ভোগান্তি চরমে হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে ১৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বৃহত্তর এ উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্র অফিসের নেই নিজস্ব কোন ভবন। স্বাধীনতার পর থেকেই ভাড়াকৃত ভবনে চলছে রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর পরই পানগুছি নদীতে বিলীন হয় রেজিষ্ট্রি অফিস, কিন্তু এখানে যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্বেও আজও গড়ে ওঠেনি নিজস্ব কোন ভবন। ভাড়া ভবনেই স্বল্প কক্ষে হুড়োহুড়ি করে রেজিষ্ট্র সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এ ছাড়া দলিল লেখতে হয় লঞ্চঘাটের মহুরী পট্টিতে, ব্যাংক ড্রাফট করতে হয় প্রায় এক কি.মি পথ পাড়ি দিয়ে ও জমি রেজিষ্ট্র করতে হয় ভূইমালী ব্রীজ সংলগ্ন ভাড়াকৃত ভবনে। ভাড়াকৃত ভবনে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও সিকিউরিটি না থাকায় এখানকার মানুষেরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। একদিকে ভোগান্তি অন্যদিকে টাকার ছড়াছড়িতে হাপিয়ে উঠেছে জমি ক্রেতা বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসার তন্ময় কুমার মন্ডল বলেন, “ আমরা ভাড়াকৃত ভবনে দীর্ঘদিন রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। নতুন প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। আশা করি আমরা শীঘ্রই নতুন জায়গায় একটি নতুন ভবন করার অনুমতি পাব।”
এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি, নুরুল ইসলাম খান বলেন,“ আমাদের নিজস্ব জায়গা আছে আমরা সেখানেই নতুন ভবন চাই। আমাদের ফান্ডে এক কোটি টাকাও আছে। এক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে নদী হতে ২০ফুট দুরত্বে নতুন ভবন করা যাবে। যা আমাদের পর্যাপ্ত জায়গা আছে, নতুন জায়গার প্রয়োজন পড়বে না।”
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত