মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে তা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক শৃংখলা ভঙ্গ করে বহিরাগতদের নিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন, গ্রুপিং সৃষ্টি ও নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫-২০জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার অভিযোগে জেলা কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি মোরেলগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আহ্বায়ক কমিটি সকল ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোতে কমিটি গঠন শুরু করে। এ নিয়ে অতিসম্প্রতি দুটি ইউনিয়নে দলীয় কর্মীদের মধ্যে মারপিট সংঘর্ষে ১৫-২০জন রক্তাক্ত আহত হন। একটি ইউনিয়নে ৪-৫ জন মৃত ব্যাক্তিদের নাম রাখা হয়েছে আহ্বায়ক কমিটিতে।
কথা উঠেছে, জামায়াত-বিএনপির নেতা ও অরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে জেলা কমিটির নিকট অভিযোগ দায়ের করা হলে জেলা নেতৃবৃন্দ মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন এম এমদাদুল হক।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অম্বরিশ রায় জানান, মোরেলগঞ্জে কমিটি গঠন নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছে। যা দলের জন্য ক্ষতিকর। সে কারনে মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল প্রকার সাংগঠনিক কার্যক্রম জেলা কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি যে সকল ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে সেসব কার্যক্রমও এই সিদ্ধান্তের আওতায় থাকবে।