জন্মভূমি রিপোর্ট : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত ১৫/২০ জন আহত ও ১০/১২টি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় উভয় পক্ষের এবং পুলিশের একটি করে মোট ৩টি মামলা রুজু হয়েছে। ওই তিন মামলার কারণে এলাকা এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে ঘেরের মাছ সহ বিভিন্ন প্রকার চুরির ঘটনা ঘটছে। এছাড়া আতঙ্কে রয়েছে পুরুষ শূন্য ওই এলাকার মহিলা ও শিশুরা। গত ২২মে সকাল ৮ টায় মোল্লাহাট উপজেলার নতুন ঘোষগাতী গ্রামের সাগর শেখের পক্ষ ও হেদায়েত শেখের পক্ষের লোকদের সংঘর্ষ এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নামে/ বেনামে অন্তত ৪/৫’শ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজুর কারণে এ অবস্থা হয়েছে ওই এলাকার। সরেজমিনে গেলে পুরুষ শূন্য কয়েক বাড়ির মহিলা সহ স্থানীয়রা জানায়, গত ২২মে সকাল ৮ টায় মোল্লাহাট উপজেলার ঘোষগাতী গ্রামে সাগর শেখের গ্রুপ ও হেদায়েত শেখের গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের মিলে অন্তত ১৫/২০ জন আহত হয়। একই ঘটনায় অন্তত ১০/১২ টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে আড়াইশ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। উক্ত মামলার এজাহার নামীয় ৭ জনকে ওই দিনই আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের থেকে একটি করে আরো দুটি মামলা রুজু হয়। এ দুটি মামলার মধ্যে একটির বাদী আমির হামজা, যার এজাহার নামীয় আসামি ৬৭ জন সহ অজ্ঞাত নামা ৭০/৮০ জন। অপরটির বাদী হাফিজুর রহমান, যার এজাহার নামীয় আসামি ৯০ জন। এছাড়া স্থানীয় শহিদ মোল্লা জানান, তার ঘেরের থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ ও একটি স্যালো ম্যাশিন চুরি হয়েছে। পুরুষ শূন্য হওয়ার কারণে আরও বেশ কিছু লোকের ঘেরের মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের চুরি হচ্ছে। থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম ওই তিন মামলায় কয়েকশ লোক আসামি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এ অবস্থা ধরে রাখতে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।