মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোল্লাহাটে সুপারি চোরকে ধরে মারপিট করাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাত যুবক ও দুই গৃহবধুকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার রাতে সুপারি চুরি করার অপরাধে মুসলমান দুটি ছেলেকে মারপিটের জেরে রবিবার দুপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাত যুবক ও দুই গৃহবধূকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।
আহতদের মোল্লাহাট ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী জয়ন্ত দাস ও সাগর বসু জানান, শুক্রবার রাত ১২টায় মোল্লারকুল গ্রামের সুধীর দত্তের গাছ থেকে সুপারী চুরি করা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে একই গ্রামের হোসাইন মোল্লা ও ফাহিম মোল্লা। চুরি করার অপরাধে তাদেরকে মারপিট করে পশ্চিমপাড়া দুর্গা মন্দিরে আটকে রাখে এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে আটকৃতদের পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়। কিন্তু পূজার পরে হিন্দুদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিলো বলে জানান ভুক্তভোগীদের পরিবার।
শনিবার পূজা শেষ হওয়ার একদিন পর রবিবার দুপুরে হুসাইন মোল্লা, ফাহিম মোল্লা, ইসা মোল্লাসহ ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই গৃহবধূ ও ৭ যুবক আহত হয়। আহতরা হলেন, সুকুমার মিত্র (৩০), শিউলি বসু (২০), সুপ্রিয়া বসু(২১) জয় বসু (২৭), পল্লব মিত্র (১৯) নিতিশ ভক্ত (২৮) সুমন দাস(৩০) সবুজ মিত্র(১৯) ও সৈকত মিত্র (২১) এ হামলার পর এলাকাবাসী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকশ নারী/পুরুষ কাপালিপাড়া মন্দির চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে যথাযথ বিচারের আশ্বাস দেন এবং নিজে উপস্থিত থেকে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হরেকৃষ্ণ অধিকারী, এএসপি সার্কেল মোঃ রবিউল ইসলাম শামীম, থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি নেতা শিকদার জামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উক্ত হামলার ঘটনায় সোমবার আহতদের পক্ষ থেকে মোল্লাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলা নং-০৪,
তারিখ ১৪/১০/২০২৪।
মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।