
জন্মভূমি রিপোর্ট : মোল্লাহাটে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। উপজেলা ছোট কাচনা গ্রামের সবেদ শেখের কন্যা সুমাইয়া খানম (১৬) কে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে একই উপজেলার দাড়িয়ালা গ্রামের ফেলু শেখের পুত্র নুরু শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা। ৪মে দাড়িয়ালা স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া খানম আত্মহত্যা করে। থানায় মামলা নেয়নি। শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাই বড় ভাই রনি শেখ। তিনি বলেন, নুরুর সাথে তার ছোট বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনাটি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। উভয় পরিবার বিয়ে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ছেলে বেকার ও মেয়র বয়স কম হওয়ার কারণে অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা চুড়ান্ত হয়ে যাবার ফলে ছেলে মেয়ের মধ্যে আরো ঘনিষ্টতা বেড়ে যায়। তিন মে সকাল ৬টায় আমার বোন সুমাইয়া খানমকে ডেকে নিয়ে ২৫লাখ টাকা দাবি করে নুরু। এই টাকা দিয়ে সে ব্যবসা করবে। আমার বোন নুরুর কথায় সায় না দেয়ায় তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দেয়। নুরুর বাড়ির লোকজন আমার বোনকে ভয়ভিতি দেখায় এবং নুরুর সাথে যেন কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখে। এই কথা সুমাইয় খানম এসে বেলা ২টায় আমাদের জানায়। এর পর আমরা নুরুর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের জন্য তাদের হাতে পায়ে ধরে অনেক মিনতি করি। আমাদের ওই বাড়ি থেকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়।
সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বোন এই ঘটনা শুনে মনের দু:খে ও ক্ষোভে চার মে সকাল ৮টয় কীট নাশক পান করে। আমরা তাকে দ্রুত মোল্লা হাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা গোপালগঞ্জ ২৫০শয্যা হাসপাতালে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় মোল্লাহাট থানায় মামলা করতে গেলে পলিশ মামলা না নিয়ে নাম মাত্র একটি অভিযোগ নিয়ে ফেলে রেখে দেয়। আমাদের ধারণা নুরুর বড় ভাই সচিবালয় চাকরী করেন। নেই সুবাধে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে মামলা নিচ্ছেনা। তিনি থানায় গ্রহণ ও নুরুসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিচার দাবি করেন।
এ সময় সুমাইয়ার বাবা সবেদ শেখ, শেখ মো. জাকির হোসেন ও বুলবুল শেখ উপস্থিত ছিলেন।