শেখ হাসান আল মাহমুদ, শরণখোলা : সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে নিষেধাজ্ঞার শুরুর আগেই ঘাটে ফিরে এসেছে ফিশিংবোটবহর। সাগরে বার বার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে এবছর জেলেরা আশানুরুপ মাছ ধরতে পারেননি। আগামীকাল শনিবার (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। নতুন করে নিষেধাজ্ঞায় উপকূলের জেলে মৎস্যজীবিদের মাঝে হতাশা ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ ৩নং সতর্ক সংকেত জারী করেছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় অধিকাংশ ফিশিংবোটবহর মাছ ধরা বন্ধ করে নিষেধাজ্ঞা শুরুর দুইদিন আগেই ঘাটে ফিরে এসেছে। অবশিষ্ট বোট উপকূলের দিকে ছুটে আসছে। এবছর সাগরের আবহাওয়া নয় দফা খারাপ হওয়ায় জেলেরা মাছ ধরতে পারেনি ফলে বিপুল পরিমাণ লোকসান হওয়ায় জেলে মহাজনদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে বলে আবুল হোসেন জানান।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, উপকূলের জেলে মৎস্যজীবিরা ভালো নেই। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার জেলে মৎস্যজীবিরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন। গত দুই দিন যাবৎ সাগরের আবহাওয়া খুবই খারাপ হওয়ায় অধিকাংশ ফিশিংবোট ঘাটে ফিরে এসেছে। দুই একটা বোট যা সাগরে ছিলো তা উপকূলে ছুটে আসছে বলে মোস্তফা চৌধূরী জানান।
পূর্ব সুন্দরবনের জেলেপল্লী দুবলা ফরেষ্ট টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেপুটী ফরেষ্ট রেঞ্জার সুব্রত কুমার দাস বলেন, সাগরে আবহাওয়া খারাপ । প্রবল ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় ফিশিংবোটবহর উপকূলের দিকে চলে গেছে।
শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ^াস বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের ইলিশ ধরা, বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কেউ যাতে অবৈধভাবে ইলিশ ধরতে না পারে সে ব্যপারে নদী ও সাগরে মৎস্য বিভাগসহ, পুলিশ, কোষ্টগার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত