
জন্মভূমি ডেস্ক : যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে খুলনায় বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সকালে রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য, সম্প্রীতির দিন ও সর্বজনীন উৎসব। বাঙালির লোকসংস্কৃতির সাথে বাংলা নববর্ষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতি শেঁকড়ের সন্ধান খুঁজে পেতে প্রতিবছর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অতীতের সব গ¬ানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ মানুষের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় করবে এবং দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে।
পরে মেয়র খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে খুলনা জেলার নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার তিনশত ৯০ শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি করে ট্যাব বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণ অংশ নেন।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে জেলখানা ও সরকারি শিশু পরিবার কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং জেলা কয়েদিদের বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্রদর্শন করা হয়। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, বর্ষবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলাসমূহ অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে।
॥ কুয়েট ॥
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ ‘বাংলা নববর্ষ’ উৎসবমুখর পরিবেশে জাঁকজমকপূর্ণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ‘গানে গানে বর্ষবরণ’ সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তৃতা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিন। সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালযের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সম্মুখ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ফুলবাড়ীগেট, খুলনা-যশোর মহাসড়কসহ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে অডিটরিয়ামের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ অন্যান্যরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
॥ সাহিত্য নিকেতন ॥
দুই বাংলার সাহিত্য সংগঠন সাহিত্য নিকেতনের উদ্যোগে বাঙালির সার্বজনীন উৎসব পয়েলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে শুক্রবার শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সন্ধ্যায় সংগঠনের ৫৬, হাজী মেহের আলী রোডের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক প্রবীর বিশ^াসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বিশ^াস মিলন আহম্মেদ মিলি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ মন্ডল হিমাংশু, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার বাপি, পাঠাগার সম্পাদক রুম্পা রায়, সদস্য ইয়াসির আরাফাত রুমি, বিপুল বিশ^াস ও দ্বীপ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, পয়েলা বৈশাখ হচ্ছে আমাদের সর্বজনীন উৎসব। যা অসাম্প্রদায়িকতার অন্যতম শক্তি যুগয়েছিলো। সেকারণে বাংলা ভাষা ও বাঙালিত্ব আমাদের সকলকে সেতবন্ধন করে রেখেছে। তাই এই ভাষার উন্নয়নে আমাদের প্রত্যেকের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। চিন্তা চেতনা ও মননে আমাদের বাংলার জন্য কাজ করতে হবে। পরে সকলে সাহিত্য নিকেতনের ত্রিমাসিক মুখপত্র হৃদয়ে বাংলার ১৬তম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন। এর আগে সকালে সংগঠনের কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়।
॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ॥
“যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে, মুক্ত করো হে বন্ধ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় সংগীত, নববর্ষের সংগীত ও ঢাক ঢোল পিটিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম।
পরে সকাল পৌনে ১১ টায় প্রশাসন ভবন চত্বর হতে গ্রাম বাংলার কৃষ্ঠি রং বেরং এর মুখোশ, পাখি ও বৈশাখী ফেস্টুন নিয়ে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষদ ভবনের সামনে বটতলায় গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি ও পহেলা বৈশাখ-১৪৩০ উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম আক্তারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম.আলী হাসান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, আই.আই.ই.আর এর পরিচালক প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, শাখা ছাত্রলীগ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ উপস্থিত ছিলেন।
॥ দেবহাটা ॥
মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বেরিয়ে প্রধান সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ শেষে বনবিবি’র বটতলায় বর্ষবরণ উৎসবে মিলিত হয়। বর্ষবরণ উৎসবে লোকসঙ্গীত, রবীন্দ্র সংগীত, বাউল গান, নাচ ও আবৃত্তি করেন স্থানীয় শিল্পীরা। এরআগে বাংলা নববর্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ শীর্ষক কুইজ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মো. মুজিবর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্যাহ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ রামপাল ॥
বছর ঘুরে আবার দরজায় হাজির হয়েছে পহেলা বৈশাখ। ঋতুরাজ বসন্তের উদাস হাওয়া বৈশাখের ঝড়ো হাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ এই স্লোগান নিয়ে বাগেরহাটের রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ ‘১ লা বৈশাখ-১৪৩০’ উদযাপন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
১৪ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৯.৩০ টায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় তারপর সম্মিলিত কন্ঠে পহেলা বৈশাখের গান পরিবেশ করা হয় এরপর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ, উপজেলা ফায়ার স্টেশনের সদস্যবৃন্দ, আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালী বের করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ সালাউদ্দিন দিপু, রামপাল থানার ওসি মোঃ সামসুদ্দীন, রামপাল থানার ওসি (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস, ডা. স্বাগত দেবনাথ, উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ শেফা, সরকারি রামপাল কলেজের প্রভাষক মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশ, শেখ শাহ নেওয়াজসহ বিভিন্ন সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
॥ পাইকগাছা ॥
১লা বৈশাখ ১৪৩০ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে থেকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটা বণার্ঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত, বৈশাখী গান ও পুরস্কার বিতরণী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্ট। এসময়ে অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ দে, ওসি (তদন্ত) তুষার কান্তি দাস, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান, বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোঃ ঈমান উদ্দীন, সহকারী প্রোগ্রামার মৃদুল কান্তি দাশ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার ঘোষ, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ দাশ, পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা বিপ্লব কান্তি বৈদ্য, খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হাসিবুর রহমান, মোঃ জাকারিয়া, সহকারী অধ্যাপক ময়নুল ইসলাম, প্রভাষক মাসুদুর রহমান, আঃ রাজ্জাক, সিনিঃ শিক্ষক আঃ ওহাব, প্রদীপ শীল, পঞ্চানন সরকার, প্রধান শিক্ষক মিলি জিয়াসমিন, অঞ্জলী শীল, সেলিনা আক্তার, বিভিন্ন দপ্তর কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
॥ পিরোজপুর ॥
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে শিল্পকলা একাডেমী থেকে জমকালো মঙ্গল শোভাযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে সরকারি জেলা স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান। পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লালা বিশ^াস, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক গৌতম চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ আলী আজম, এনএসআই’র যুগ্ন পরিচালক মো. আব্দুল কাদের, শেরে বাংলা পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মাওলা নকীব সহ বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিবৃন্দ এবং বিভিন্ন বয়সের শিশু, নারী ও পুরুষ মেলায় উপস্তিত হন।
॥ রূপান্তর ॥
আন্তঃ প্রজন্ম সুসম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে অপশক্তিসমূহের সব ধরণের অপচেষ্টা রুখে দিয়ে কুসংস্কারমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর উদযাপন করেছে বাঙালির সার্বজনীন উৎসব নববর্ষ এবং রূপান্তর দিবস।
শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বাংলা নববর্ষ ও রূপান্তর-এর জন্মদিন উপলক্ষে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নববর্ষের দেয়ালিকা ুখেরোখাতা” উন্মোচন এবং জেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বর্ণিল অংশগ্রহণ।
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রূপান্তর-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। আলোচনায় অংশ নেন রূপান্তর-এর চেয়ারপার্সন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন মঞ্জু, ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি চন্দ্রজিৎ মুখার্জী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ভার্গব বন্দোপাধ্যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিনা রাজিব আহমেদ, নেপালের কমিউনিটি রেডিও’র কর্মী কাজল ও দীপক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রূপান্তর-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন। আলোচনা সভা সঞ্চলনায় ছিলেন রূপান্তর-এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাস এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পয়লা বৈশাখ উদযাপন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আকতারুন্নেছা নিশা।
॥ কপিলমুনি ॥
কপিলমুনিতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ (পহেলা বৈশাখ) উদযাপন হয়েছে। নতুন বছরের আগমনী বার্তায় শুক্রবার সকাল ৮ টায় কপিলমুনি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেকেএসপির আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বাজারের মেইন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের কাছে বাংলা নববর্র্ষের প্লাকার্ড ফেস্টুন ও বৈশাখী সাজ লক্ষ্যে করা গেছে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় কপিলমুনি জুড়ে নববর্ষ পালিত হয়েছে।
এ দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য বাংলা নববর্ষ। মুঘল সম্রাট আকবর সিংহাসনে আরোহনের সময় বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তৎকালে ‘ফসলি সন’ নামে প্রবর্তন করা হলেও কালক্রমে এটি ‘বাংলা সন’ নাম পরিচিতি লাভ করে। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে বছরের প্রথম দিনটি বাঙালি জাতি আনন্দ-উৎসবে কাটায়। এ দিন ঐতিহ্যবাহী পোশাক, খাবার, গ্রাম্য মেলা, হালখাতা, লোকগান, কবিতা, গল্প ও নাটকের মধ্য দিয়েই বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বর্ষবরণ উৎসবে অংশ নেয়। বাংলা বর্ষের প্রথম মাস বৈশাখ। এই মাসের প্রথম দিনেই বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নববর্ষকে। অতীতের দুঃখ-বেদনা, জরা-ক্লান্তি মুছে দেওয়ার প্রত্যাশায় দেশ জুড়ে আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ উৎসবের। প্রতিবছরই বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তার ব্যতিক্রম নয় কপিলমুনি। এবারও নানা আয়োজনের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়। এসময় কপিলমুনি শোভাযাত্রায় আংশগ্রহণ করেন, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদুজ্জামান মোড়ল, উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্ল্যাহ বাহার, মেহেরুন্নেচ্ছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা, সাংবাদিক জি এম হেদায়েত আলী টুকু, তালা মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক রেজাউল করিম খোকন, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় মন্ডল, কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, যুগোল পুত্র হিমাদ্রী শেখর দে, সাংবাদিক জগদীশ দে, মেহেরুন্নেচ্ছার সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান, শিমুল বিল্লাহ বাপ্পী, শিক্ষক নুরুজ্জামান, কপিলমুনি বিনোদ বিহারী শিশু বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ দাশ, বজলুর রহমান, বিধান ভদ্র, আওয়ামীলীগ নেতা সন্দীপ সাধু, পরিমল সাধু, অজয় সাধু, শিক্ষক পলাশ বিশ্বাস, সাংবাদিক সবুর আল-আমীন, উদয় দেবনাথ, শেখ আব্দুর রশীদ, অহেদুজ্জামান মোড়ল, দেবদাস সেন, রনজিত অধিকারী, উত্তম অধিকারী ও দিলীপ সরকার প্রমুখ।
॥ খুবি ॥
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ (বাংলা নববর্ষ-১৪৩০) উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকাল ১০.৩০ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সমবেত কণ্ঠে এসো হে বৈশাখ, এসো.. এসো … বর্ষ আবাহন সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
এসময় উপস্থিত সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এ দিনটিকে ঘিরে খুলনার সকল পর্যায়ের মানুষ এখানে একত্রিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। শিক্ষার্থীদের নানা রকম কারুকার্যে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সকলের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এজন্য আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এ অনুষ্ঠানে আগত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরের হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ ভুলে নতুন করে পথচলা শুরু হোক নববর্ষের মাধ্যমে- এটাই প্রত্যাশা করি।
পরে বেলা ১১টায় উপ-উপাচার্য বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু করে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট হয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে হাদী চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নানা রঙের ফেস্টুন, প্লাকার্ড, মুখোশ, রঙিন মাটির সরাসহ বিভিন্ন আকার ও রকমের শিল্পকর্মসহ বর্ণিল সাজ ছিলো নজরকাড়া।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, আয়োজক কমিটির সভাপতি চারুকলা স্কুলের ডিন, কমিটির সদস্য-সচিব ছাত্র বিষয়ক পরিচালকসহ শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। এছাড়াও বাইরের প্রচুর সংখ্যক মানুষ সপরিবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন নববর্ষ উদযাপনে।
॥ খুলনা বিএমএ ॥
খুলনা বিএমএ এর পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে ছিল সকাল ৭.৩০মি. মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ¦লন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং সকাল ৮.৩০ মি. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিএমএ এর সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম, সহ-সভাপতি ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ, ডা. মোল্যা হারুন অর রশীদ, ডা. এস এম সামছুল আহসান মাছুম, সাধারণ সম্পাদক ডা.মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, সাংস্কৃতিক ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ডা. সোহানা সেলিম, গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. পলাশ কুমার দে, কার্যকরী পরিষদের সদস্য ডা. প্রিতীশ তরফদার, ডা. ডলি হালদার,অধ্যাপক ডা. পরিতোষ কুমার চৌধূরী, ডা. মিথুন কুমার পাল, ডা. বাপ্পারাজ দত্ত, ডা. মো. রকিবুল ইসলাম, বিপিএমপিএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা. গাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. বঙ্গ কমল বসু, ডা. জগবন্ধু দাস, ডা. শীতেশ চন্দ্র ব্যানার্জি, ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ডা. মৃনাল কান্তি সরকার, ডা. আর কে নাথ, ডা. বিশ^জিৎ কুমার বাইন, ডা. তাসনুভা আলম, ডা. উর্মি চৌধুরী, ডা. নয়ন পাল সহ বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যগণ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।
॥ মোল্লাহাট ॥
মোল্লাহাটে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপনে সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালন করেছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সমবেত কন্ঠে এসো হে বৈশাখ সঙ্গীত পরিবেশন এবং বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রা উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে শুরুকরে সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শুরুর স্থলে এসে শেষ হয়। উক্ত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুল আলম ছানা। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম রেজা ও রুবিয়া বেগম। অন্যান্য অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ওসি সোমেন দাশ, কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, আরএমও ডাঃ নাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার(সাবেক) মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাস, কে আর কলেজের অধ্যক্ষ এল জাকির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম সাইকুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মোল্লা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান, নির্বাচন কর্মকর্তা ইশহাক, সমবায় কর্মকর্তা মোরশেক আহমেদ, একাডেমিক সুপার ভাইজার রামপদ বিশ্বাস, ফায়ার সার্ভিস এর সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম, সরকারি ওয়াজেদ মোমেরিয়াল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফরিদ আহমেদ ও শহীদ হেমায়েত উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উম্মে হামিমা, মোল্লাহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী মোহনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এনজিও কর্মকর্তা, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
॥ বাগেরহাটবাসী ॥
বাগেরহাটে নাচ-গান, শোভাযাত্রা ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে হাজার-হাজার মানুষ জড় হয়। প্রথমেই জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বৈশাখী গান ও আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিককর্মীরা বাউল, জেলে, ঢুলি, পুলিশসহ নানা সাজে সেজে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শোভাযাত্রাটি জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয়। সেখানে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সাতদিন ব্যাপি বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। পরে মেলায় আগত বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন অতিথিগণ।
এসময়, বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ঝুমুর বালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজ আল আসাদ, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ বিভিন্ন শ্রেনিপেশার গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
॥ ডুমুরিয়া ॥
ডুমুরিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নানা আয়োজনে বর্ষ বরণ নববর্ষ উদযাপন হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পুরস্কার বিতরণী সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান শারমীনা পারভীন রুমা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক,চন্দ্রকান্ত তরফদার, কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন, শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার বিশ্বাস, প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রীনা মজুমদার প্রমুখ। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
॥ ফকিরহাট ॥
বাগেরহাটের ফকিরহাটে বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩০-এর মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এটি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বণার্ঢ্য শোভাযাত্র উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা অডিটোরিয়াম চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলাা নির্বাহী অফিসার মারুফা বেগম নেলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিধান কান্তি হালদার, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান সহ অন্যান্যরা।
॥ তেরখাদা ॥
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ১৪ এপ্রিল বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ পালিত হয়। সকাল ৮টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। পরে রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-৪ আসনের এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ শারাফাত হোসেন মুক্তি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শেখ ইকবাল হোসেন, প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা চম্পা, প্রধান শিক্ষক মোঃ ইকরাম হোসেন জমাদ্দার ও তেরখাদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মফিজুল ইসলাম জুম্মান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন একাডেমিক সুপারভাইজর সাহেলা সুলতানা ।
॥ তালা ॥
তালায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে তালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপ-শহরে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তহমিনা সুলতানা নীলা, তালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশীদা পারভীন পাঁপড়ি, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মফিজ উদ্দীন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সন্জয় বিশ^াস, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ বাবলু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি উপাধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ মোড়ল, মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেখ শফিকুল ইসলাম, তালা শহীদ আলী আহমদ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার, আওয়ামী লীগনেতা সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, জেএসডি নেতা মীর জিল্লুর রহমান প্রমুখ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।
॥ ফুলতলা ॥
বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন উপলক্ষে ফুলতলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেলা ১১ টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা ও উপজেলার শহীদ হাবিবুর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইউসুফ, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হক, ফুলতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শাহীন আলম, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, উপ-সহকারী পরিচালক (বীজ) মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। শেষে উপজেলার সকল মাধ্যমিক স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়।