যশোর অফিস : যশোরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ গত বৃহস্পতিবার দায়ের করা মামলা দু’টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, যশোর শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার আব্দুল হামিদ, তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন, মেয়ে রেশমা খাতুন ফেলি, তিন ছেলে সেলিম, জসিম ও সাগর এবং একই এলাকার রুস্তুম আলী।
শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার আব্দুর রব বিশ্বাসের স্ত্রী বকুল বেগম মামলায় জানিয়েছেন, আসামিদের আসামিদের কাছ থেকে দুইটি দলিলে ৪.২৯ শতক এবং আরেকটি দলিলে ৪৬ পয়েন্টসহ মোট পৌনে ৫ শতক জমি ক্রয় করেন। এরমধ্যে ক্রয়কৃত জমির একটি অংশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন বাদী। কিছু অংশ আসামিরা দখল বুঝে না দেয়ায় তাদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকায় সম্প্রতি ওই জমির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই জমি দখল বুঝে দিতে বলা হলে না দিয়ে বরং উল্টো আরো ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়। গত ১৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশে কবির হোসেনের দোকানে কিছু কেনাকাটার জন্য যান বাদী। এসময় পূরর্বের দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা না পেয়ে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে আসামিরা। এসময় তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় তার উপর হামলা করে মারপিট ও গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন চিনিয়ে নেয়। আসামিদের মারপিটের হাত থেকে রেহাই পেয়ে দৌড়ে বাদীর বাড়িতে চলে যান। কিন্তু আসামিরা তার পিছু নিয়ে বাড়িতে গিয়ে দরজার গ্লাস ভেঙ্গে আরো ৮০ হ্জাার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
অপরদিকে বকুল বেগমের মারপিট ঠেকাতে এলে কবির হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগমকেও মারপিট করে। তারা কবির হোসেনের দোকান ভাংচুর করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন, ক্যাশ ড্রয়ার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং আমেনা বেগমের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও কানের দুলসহ এক লাখ ১০ হাজার ক্ষতি করে।
পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোজন বকুল বেগম ও আমেনা বগেমকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।
এরপরে বিষয়টি স্থানীয় ৮ নম্বর পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে যান ভুক্তভোগীরা। কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কর্ণপাত না করায় আদালতৈ এই মামলাটি করা হয়েছে।