যশোর প্রতিনিধি : নৌকায় ভোট না দেয়ায় যশোর-২ আসনের ঝিকরগাছা উপজেলার অসংখ্য গ্রামে হামলা চালে ভাংচুর লুটতরাজ করেছে সন্ত্রাসীরা।শিমুলিয়া আন্দুলপোতা ও বাঁকড়ায় অন্তত ১২ বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা এসময় খিচুড়ি খাওয়ার কথা বলে সয়াবিন তেল, হাঁস-মুরগীসহ নগদ টাকা ও গহণা নিয়ে গেছে।
ঝিকরগাছার শিমুলিয়া গ্রামের ভুক্তভোগীরা জানান, নৌকার বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার রাতে নৌকার কর্মী জয়নাল, ডালিম, আবুসহ প্রায় দুইশ’ লোক শিমুলিয়া গ্রামে প্রবেশ করে। এরপর তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলামের পক্ষে কাজ করা কর্মী আজিজুর, লাল্টু মেম্বারসহ ৭জনের বাড়িতে, আন্দুলপোতা গ্রামের ৪ কর্মীর বাড়িতে ও হরিদ্রাপোতা গ্রামের আকছেদ আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারী রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় তারা পুরুষদের খোঁজ নেয় এবং হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। এমনকি খিচুড়ি খাওয়ার কথা বলে সয়াবিন তেল, হাঁস-মুরগীসহ নগদ টাকা ও গহণা নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
ভুক্তভোগী আজিজুর রহমানের মা ওজলা বানু বলেন, জয়নাল, ডালিম আবুসহ ২০০ জন আমার বাসায় এসে হামলা চালায় । তারা বাসার সকল আসবাবপত্র তছনছ করে এবং লুটপাট করে। যাওয়ার সময় তার ছেলে আজিজুরকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।
অপর ভুক্তভোগী লালটু মেম্বার জানান, ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করায় তারসহ এলাকার বেশ কয়েকজনের বাড়ির সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করে নৌকার সমর্থকরা। এ সময় তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে সতর্ক করে যায়। তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমার ও আমার এলাকার বেশ কয়েকজনের নামে মামলা করেছে থানায়। বর্তমানে আতঙ্কে বাড়ি ঘরে যেতে পারছি না।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ। তিনি জানান, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার জন্য মনিরুল ইসলামের সাথে ট্র্যাক মার্কায় নির্বাচনে অংশ নিলে নৌকার সমর্থকরা তাদের নেতাকর্মীদেরকে মারধর ও বাড়ি ভাংচুর করে ও লুটপাট করে। তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তারপরও তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের উপরে আস্থা রেখেছেন। তিনি হামলাকারীদের আটকে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, হামলার বিষয়ে জেনেছি। এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ থানায় এসেছে, তদন্ত চলছে। দুইজনকে আটকও করা হয়েছে।