যশোর অফিস : যশোর জেলা যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রোববার বিকেলে শহরের লালদীঘির পাড় যশোর জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাসহ কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীদের মুুক্তির দাবিতে বক্তৃতা করেন বিএনপির বিভাগীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, বিগত এক যুগের অধিক সময় ধরে অনেক মার খেয়েছি, অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। এখন আর মার খাওয়ার সময় নেই। এখন সময় প্রতিরোধের। একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে। যে বাংলাদেশে আইন আদালত স্বাভাবিকভাবে পারিচালিত হবে। যে আইনের শাসনের কথা বলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট রচনা হয়েছিল। যে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভেীম ভু-খন্ড অর্জন করেছিলেন। সেই পাকিস্তানের আদালত স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হয়। অথচ স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বাংলাদেশের আইন আদালত সরকারের আজ্ঞাবহ। এই লাল সবুজের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯১৭ সালে নিজের জীবন তুচ্ছ করে অস্ত্র কাধেঁ তুলে নেননি। এই বাংলাদেশ দেখবার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েননি। কিংবা মা বোনেরা তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম বির্সজন দেননি।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন। জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান মধুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুলের পরিচালনায় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন খায়রুজ্জামান মধু, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, আঞ্জুরুল হক খোকন, সাইদুর রহমান বিপুল, রফিকুল ইসলাম রতন, মোস্তফা আমির ফয়সাল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, রাজিদুর রহমান সাগর, কামরুল ইসলাম, তানভীর রায়হান তুহিন, আবুল কালাম আজাদ, মোনাজ্জেল হোসেন লিটন, মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ, এখলাস হোসেন, মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, আব্দুল মান্নান, গোলাম মোস্তফা, আতাউর রহমান, বিল্লাল হোসেন, হিরু আহমেদ, মফিজুর রহমান বাবু প্রমুখ।