যশোর অফিস : যশোরে কয়লা ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামানকে চাঁদা দাবিতে যশোর থেকে অপহরণ মামলার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ৯ জনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানাধীন তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই একরামুল হুদা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলো, যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত, আমানত আলীর ছেলে কামাল হোসেন হিরা, শের আলীর ছেলে সাঈদ হোসেন, মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুস সোবহান, কাশেম আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম, আরশাদ আলী গাজীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, কবির হোসেনের ছেলে শিপন হোসেন, আজিজুর রহমানের ছেলে মোনায়েম হোসেন মুন্না ও কিসমত নওয়াপাড়ার ওহিদুল ইসলামের ছেলে তওসীকুল ইসলাম তনিম।
মামলায় জানা গেছে, চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আক্তারুজ্জামান নওয়াপাড়া থেকে কয়লার ব্যবসা করেন। আসামি ইয়াসিন আরাফাত তার দোকান থেকে নগদ ও বাকিতে কয়লা কিনে বিভিন্ন ভাটায় সরবরাহ করতেন। ইয়াসিনের কাছে ২০ লাথ টাকা পাওনা ছিল আক্তারুজ্জামানের। ২০২২ সালের ৬ জুলাই আসামি তওসীকুল ইসলাম তনিম তাকে ফোন করে জানান তার ভাটায় কয়লা লাগবে। আক্তারুজ্জামান তার কথায় বিকেলে যশোর শহরের নিউমার্কেট এলাকায় আসেন। এসময় আসামিরা তাকে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে তালবাড়িয়ার কামাল হোসেন হিরার মাছের ঘেরে নিয়ে আটকে রাখে। এরমধ্যে আসামিরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। আসামিরা তখন তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট করে কাছে থাকা ৪৬ হাজার ও বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার নিয়ে নেয় আসামিরা।
এছাড়া আসামির একটি চেকে ১১ লাখ ও তিনটি ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। পরে আসামিদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি তালবাড়িয়া ক্যাম্প ও কোতোয়ালি থানা পুলিশকে অবহিত করলে তৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক ও চেক এবং স্টাম্প উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আক্তারুজ্জামান কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিরা সবাই জামিনের আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত