
যশোর অফিস : যশোর খুলনা বরিশাল ভোলা, চরফ্যাসান রুটের আব্দুল্লাহ পরিবহনের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সাথে হয়রানি, মালামাল পাঠানোর ক্ষেত্রে লেবারদের নামে টাকা নেয়াসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মিজান নামে এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, দিন-দিন আব্দুল্লাহ পরিবহনের যাত্রী হয়রানির মাত্রা বেড়েই চলেছে। সেই সাথে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে নানা ধরণের হয়রানি করছে। তিনি আরো বলেন, রিকসা থেকে ৩ কার্টন মাল নিজেই বাসে উঠান। এর মধ্যে লেবার নামে পরিচয় দিয়ে একজন এসে ৩ কার্টনের জন্য ৯০ টাকা দাবি করেন। মাল নামানো বা উঠানোর কোন কাজ করতে না হলেও লেবার অধিকারে হাত দেয়া ঠিক হয়নি বলে দাবি করে ওই টাকা চাওয়া হয়।
যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার মামুন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগে জানান, তিনি গত ২৩ মে আব্দুল্লাহ পরিবহরের যশোরের মনিহার কাউন্টার থেকে ৬ কার্টন বই ও দুই বস্তা বই ভোলার বাংলাবাজারে আব্দুল্লাহ পরিবহনের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এসময় বই পাঠানো বাবদ পরিবহন খরচ ২ হাজার ৪শ’ টাকা কাউন্টার থেকে নেয়া হয়। টাকা পরিশোধ করার পর বইগুলো বাসে উঠানোর জন্য লেবাররা কাটুন প্রতি ৩০ টাকা হারে দাবি করেন। ৮ কার্টনের মোট ২৪০ টাকা একপর্যায়ে জোর করে নেন। এরপর বাংলাবাজারে পৌছায়ে বইয়ের প্রাপককে জানানোর কথা থাকলেও তারা কখনো জানায়নি। বরং বই কখন পৌঁছাবে সে কথা জানতে চাইলে বাসের সুপার ভাইজার খারাপ ব্যবহার করেন। পরদিন বাংলা বাজারের মেইন রোডের পাশে বইগুলো ফেলে রাখা হয়। বৃষ্টিতে কয়েক কাটুনের বই নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বই নিতে আসলে কার্টন প্রতি ৩০ টাকা হারে ৮ কার্টনের ২৪০ দাবি করা হয়। টাকা না দেয়া পর্যন্ত কোন বইয়ের কার্টন দেয়নি। বৃষ্টির পানিতে বই নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। এভাবে আব্দুল্লাহ পরিবরের নির্যাতন মাত্রা দিন-দিন বেড়ে চলেছে। ভুক্তভুগীরা আব্দুল্লাহ পরিবহনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
যাত্রী হয়রানি আর মালামাল উঠানোর বাবদ লেবারদের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে আব্দুল্লাহ পরিবহনের সুপারভাইজার কালাম জানান, লেবারদের টাকা দেয়ার পর নির্ধারণ করা হয়েছে। মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সমন্বয়ে এ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।