যশোর অফিস : যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের সোনিয়া খাতুন গৃহচালিকার কাজ করেন। তার স্বামী দিনমজুর। অসুস্থতার কারণে এখন আর আগের মত কাজ করতে পারেন না তিনি। তাদের দুই সন্তানের জন্যে ঈদে নতুন জামা কেনা তাদের জন্যে বেশ কষ্টকর। তাদের দুই সন্তানের হাতে রঙিন নতুন জামা-কাপড় তুলে দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে নতুন জমা পেয়ে ওই দুই শিশু ভীষণ খুশি।
শুধু ওই দুই শিশু না, তাদের মত পিছিয়ে পড়া ৪০ শিশুর হাতে রঙিন নতুন জামা তুলে দেওয়া হয়। আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলো বন্ধুসভা যশোরের উদ্যোগে এই শিশুদের মাঝে নতুন জামা বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম আলো যশোর কার্যালয়ে শিশুদের হাতে এই রঙিন জামা কাপড় তুলে দেওয়া হয়।
বেলা ১১টায় ওই শিশুরা অভিভাবকদের সঙ্গে প্রথম আলোর যশোর অফিসে গিয়ে জড়ো হয়। এ সময় তাদের মাপ অনুযায়ী পোশাকের প্যাকেট তুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই শিশুদের হাতে এক প্যাকেট করে বিস্কুট ও চকলেটও তুলে দেওয়া হয়।
সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘ঈদের আগে ছেলে-মেয়ের নতুন জামা পেয়ে খুব ভালো হলো। নতুন জামা কাপড় কেনার টেনশন দূর ছিলাম। এখন ঈদে সেমাই-চিনি কেনাও আমার জন্যে খুব কঠিন। ঠিক মত দুমুঠো ভাতই জোটাতে পারছি না।
সহমর্মিতার ঈদ কর্মসূচি ঘোষণা করে বন্ধুসভার বন্ধুরা আগেই ওই শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাপজোপ নিয়ে বাজার থেকে সেই অনুযায়ী পোশাক কেনেন। এরপর শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আহসান কবির, বন্ধুসভার উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন ও শাহেদ চৌধুরী, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, শিক্ষক নাসরিন শিরিন ও সাদিয়া শারমিন, বন্ধুসভার সভাপতি লাকি রানী কাপুড়িয়া, সহসভাপতি মুরাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান, নতুন রঙিন জামা বিতরণ কর্মসূচির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব সুমন রেজা, বন্ধুসভার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জাহানারা জ্যোতি, প্রিয় রঞ্জন দত্ত, সিনথিয়া সাথী প্রমুখ।
ভৈরব নদের তীরবর্তী এলাকার ১২ বছরের এক শিশু নতুন জামা পেয়ে জানায়, নতুন জামা পেয়ে অনেক ভাল্লাগছে।