
যশোর অফিস
যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস সোমবার ৪১টি পৃথক মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ২৬ টি মামলায় সাজা ও ১৫ মামলায় আসামিদের খালাশ প্রদান করেছেন। সোমবার পৃথক এসব মামলার রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালতের এপিপি এ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমীন ও ভীমসেন দাস।
অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের শেখ আব্দুল করিমের ছেলেকে কবীর হোসেন ওরফে ঠান্ডুকে সাতবছরের সশ্রম কারাদন্ড, সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে পলাতক রেশমা বেগমকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ড, শংকরপুর এলাকার ইবাদ আলীর ছেলে পলাতক ইমরান খানকে মাদক মামলায় চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ড, অভয়নগর উপজেলার গোয়াখোলা স্কুলের পাশের বাসিন্দা আব্দুল গণির ছেলে পলাতক আবুল কালাম ওরফে মাসুদ রানাকে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ড, শার্শার রাড়ী পুকুর গ্রামের মৃত কওসার আলীর ছেলে পলাতক মফিজুল ইসলামকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত।
একই আদালত দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও একহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এ আদেশের সাজা প্রাপ্তরা হলেন, শার্শা উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আফছার আলীর ছেলে পলাতক মিজানুর রহমানকে, বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় ভবেরবেড় গ্রামের মৃত মোকছেদ সরদারের ছেলে পলাতক আলী কদর, মাদারীপুর জেলার পূর্বস্বর গ্রামের কবির মাতব্বরের স্ত্রী পলাতক মমতাজ বেগম, বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার ঘিবা গ্রামের ইউনুস আলী মোড়লের ছেলে পলাতক আব্দুল আলীম ও একই এলাকার আব্দুল আলীমের স্ত্রী পলাতক আলেয়া বেগম, ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার খাবাসপুর গ্রামের মাধব কুন্ডুর ছেলে পলাতক প্রদীপ কুন্ডু, বেনাপোল পোর্টথানার বালুন্ডা গ্রামের আকবরের ছেলে পলাতক আলমগীর হোসেন, ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সিজান মাহমুদ,
ঝিকরগাছা মোবারকপুর গ্রামের আলাউদ্দীন আলীর ছেলে পলাতক সালাউদ্দীন, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মুকুন্দ কুমার দাসের ছেলে পলাতক সনজিৎ দাস, যশোর সদর উপজেলার চোপদারপাড়া গ্রামের আকমত আলীর স্ত্রী পলাতক মালেকা বেগম, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার গোবিন্দকাঠী গ্রামের আমজাদের মিস্ত্রির ছেলে পলাতক সিরাজুল মিস্ত্রী, যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার শ্রাবন রহমান হাসিবের স্ত্রী পলাতক পারভীন আক্তার, শার্শা উপজেলার বাঁগআচড়া গ্রামের কাদের ধাবকের ছেলে পলাতক মিঠু ধাবক, শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে আশাদুল ইসলাম আশা, অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে পলাতক ওহিদুল ইসলাম গাজী, বেনাপোল সাদিপুর গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে পলাতক মোহাম্মদ আলম। এছাড়া এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন সদর উপজেলার মালিরহাট মাঠপাড়াগ্রামের মৃত আসানুল হকের ছেলে পলাতক হাসিবুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার সুবারিঘাটা গ্রামের কালীদাসের ছেলে পলাতক অশোক কুমার দাস।
এছাড়া চেক জালিয়াতি মামলায় যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের রুহুল আমিন মুন্সির ছেলে হাফেজ নুর মোহাম্মদকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেরে বর্ণিত পাঁচলাখ টাকা, মণিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে রুহুল আমিনকে তিনমাসের বিনাশ্রম ও চেকে বর্ণিত দেড়লাখ টাকা, ঢাকা জেলার পুরাতন পল্টন এলাকার আজহার আলীর ছেলে ইমাম হাসান সাইফীর এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
২৬ মামলায় ২৭ আসামির সাজা প্রদানের পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া একই আদালত পৃথক আরো ১৫ টি মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। ওই মামলায় ১৬ আসামির খালাশ প্রদান করে আদালত।