
যশোর অফিস : যশোরে তুচ্ছ ঘটনা ওপূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা মাসুদুর রহমান (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে দিন দুপুরে হামলা চালিয়ে কিল,ঘুষি,চড় থাপ্পর ও ছুরিকাঘাত করেছে। এসময় নগদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় রোববার ১৪ জুলাই রাতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন, শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া ঢাকা রোড মান্দারতলা এলাকার মৃত জনাব আলী বিম্বাসের ছেলে আহত মাসুদুর রহমান। মামলায় আসামী করেন, শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলার মিজানুর রহমানের ছেলে শান্ত,খুলনা জেলার কয়রা থানার পাটগাছা কপিলমনি বর্তমানে যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়া কদমতলার ফরিদ চৌধুরীর ছেলে সাকিব চৌধুরী জুম্মান, একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে আবিক হাসান আপন,ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার আটরশি গ্রামের বাদল হোসেনের ছেলে রাকিবুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন। পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী সাকিব চৌধুরী জুম্মান, আবিদ হাসান আপন ও রাকিবুল ইসলামকে আটক করে সোমবার ১৫ জুলাই দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় মাসুদুর রহমান উল্লেখ করেন, আসামীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং একাধিক মামলা আসামী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকাল মহড়া দেওয়াসহ চুরি,ছিনতাই, চাঁদাবাজী,মাস্তানীসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ লোকজন আতংকে থাকে। আসামীদের সাথে বাদির পূর্ব শত্রুতা থাকায় তারা বাদিকে মারপিট খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল। গত রোববার ১৪ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২ টায় পূর্ব বারান্দীপাড়া ঢাকা রোড মান্দারতলা নামক স্থানে জনৈক রুহুল আমিনের দোকানে অবস্থানকালে উক্ত আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রুহুল আমিনের দোকানে মধ্যে বাদির উপর আক্রমন করে।বাদিকে মারপিট করার এক পর্যায় শান্ত বাদিকে ছুরিকাঘাত করে। সাকিব চৌধুরী জুম্মান বাদির কাছে থাকা নগদ ৫,৫৭৫ টাকা কেড়ে নেয়। ওই সময় বাদি ডাক চিৎকার দিলে দোকান্দার রুহুল আমিন,রুহুল আমিনের স্ত্রী বাদির ভাগ্নি ঝর্না খাতুন ও ভাগ্নে নিশান আহম্মেদসহ আরো লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদেরকে মারপিট করে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। বাদিকে যে কোন সময় আসামীরা মারপিট,খুন জখম মিথ্যা মামলাসহ যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে বাদি আশংকা প্রকাশ করেছে। বাদি জখম প্রাপ্ত হওয়ায় তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহার নামীয় উক্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।

