যশোর অফিস : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূল বলেন, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোনো আদর্শকে নির্মূল করা যায়নি। আর কখনো যাবেও না। আল্লাহ তায়ালার জান্নাতের বিনিময়ে মুমিনের জানমাল কিনে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে আমরা চুক্তিবদ্ধ। আর এই চুক্তির শর্তাবলি যথাযথভাবে পালনের মধ্যেই রয়েছে মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার বিধান ও রাসূল সা:এর আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।শুক্রবার (১৬আগস্ট) হোটেল রেড টাউনে বিকাল ২টায় যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার পেশাজীবি থানার উদ্যোগে খন্দকার রাশেদুজ্জামান রতন এর সভাপতিত্বে আবু ফয়সাল এর পরিচালনায় ষান্মাসিক সদস্য সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন ,জেলা
নায়েবে আমির বেলাল হুসাইন, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শামসুজ্জামান,যশোর শহর শাখার শিবিরের সভাপতি মোস্তফা কামালে,এডভোকেট আব্দুল
লতিফ প্রমুখ। প্রধান অতিথি আরো বলেন, মানুষের দুনিয়াবী জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী, চিরস্থায়ী আখেরাতের জীবন। তাই দুনিয়ার জিন্দিগীর চেয়ে আখেরাতের জীবনকেই আমাদেরকে অধিক প্রাধান্য দিতে হবে। এজন্য দ্বীন বিজয়ের প্রচেষ্টা চালানোর কোনো বিকল্প নেই। আর দ্বীনকে বিজয়ী করতে রুকনদের জান ও মাল দিয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ময়দানের নামতে হবে ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথে। এক্ষেত্রে হতাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই সকল জুলুম-নির্যাতন ও বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। সে ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও চলে আসছে নির্মম জুলুম-নির্যাতন। । তার কারনেই স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে সর্বাচ্চ ত্যাগ ও কুরবানির নজরানা পেশ করতে হবে। পরকালে মুক্তির জন্য দুনিয়ায় সদকায়ে জারিয়া হিসেবে সম্পদের একটি অংশ অসিয়ত করে যাওয়া দরকার। তাহলেই আমাদের স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সহজতর হয়ে। তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও
আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে জুলুম-নির্যাতন গুম হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। তারই ধারাবাকিতায় বর্ষীয়ান নেতাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে রেখেছে। ইতিহাস স্বাক্ষী যতদিন দুনিয়ার বুকে ইসলামের বিধান কায়েম ছিল ততদিন প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত ছিল। আজকের বাস্তবতায় ভেদাভেদের দেয়াল ভেঙ্গে সবার জন্য কল্যাণকর একটিসমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব একমাত্র ইসলামের সার্বজনীন আদর্শকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি অনুপম সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে।