যশোর অফিস : বিকাশে টাকা আসার কথা বলে এজেন্টের কাছ থেকে দু’টি নাম্বার নিয়ে ভূয়া মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করার একপর্যায় মেহেদী হাসান মামুন নামে এক প্রতারক ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। এসময় তার সহযোগী শুভ কির্ত্তনীয়া কৌশলে পালিয়ে জীবন রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইলিয়াস হোসেন ডাবলু বাদী হয়ে রোববার দিবাগত রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় আসামি করেছেন, মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার আমগ্রামের বর্তমানে খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার ডালমিল ৪৯ বিকে রায় রোড (পুলিশ ফাঁড়ী) আব্দুল খালেকের ছেলে মেহেদী হাসান মামুন ও গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কাড়ারগাতী গ্রামের শ্যামল কির্ত্তনীয়ার ছেলে শুভ কির্ত্তনীয়া।
মামলায় উল্লেখ করেন, তার নিজ নামীয় যশোর সদরের বসুন্দিয়া মোড়স্থ হুমায়রা ষ্টোর নামক কসমেট্রিক্স ও বিকাশের দোকান আছে। গত ৫ জুন সকাল ১০ টা বেজে ৫০ মিনিটে বিকাশ নাম্বার হতে দুইজন ব্যক্তি প্রতারণা করে ১৫হাজার ৩শ’ টাকা নিয়ে যায়। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টায় মেহেদী হাসান মামুন দোকানে এসে বলে তাকে দুইটা নম্বার দেন তার টাকা আসবে। তখন মেহেদী হাসান মামুনকে বিকাশের এজেন্ট নম্বর ও পার্সোনাল নাম্বার দেয়। মামুন নাম্বার দু’টি নেওয়ার পর দোকান হতে চলে যায়। মামুন ও তার সহযোগী শুভ কির্ত্তনীয়া দু’জন পরামর্শক্রমে কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মেহেদী হাসান মামুন দোকানে এসে বলে তার একটি মোবাইল নাম্বারের বিকাশ থেকে ৬৫০০ টাকা এসেছে। মোবাইলের মেসেজ যাচাই করে দেখেন ভূয়া ১০ হাজার ৫শ’ টাকার মেসেজ পাঠায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে মেহেদী হাসান মামুন লোক দেখে পালানোর চেষ্টা করলে জনগণ ধরে গণধোলাই দেয়। তার সহযোগী শুভকীর্ত্তনীয়া কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রতারক মেহেদী হাসান মামুনকে হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর সোমবার দুুপুরে প্রতারককে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত