যশোর প্রতিনিধি : যশোর শহরের এমকে রোডে বৈদ্যুতিক পিলারে ঝুলে থাকা ইন্টারনেট ও ডিস লাইনের ফাইবার তারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মার্কেটের দোকান গেল ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেলেও লাইনের শত শত তার পুরে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া এবং ফায়ার সার্ভিসের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এতে করে দুটি মার্কেটে থাকা প্রায় দুইশত দোকান পাট ক্ষয়ক্ষতির কবল থেকে রক্ষা পায়।
এ বৈদ্যুতিক পিলারটি এম কে রোডস্থ সন্ধানী মার্কেট ও আলমবাগ মার্কেটের মাঝামাঝি স্থলে অবস্থিত। এ পিলারের সাথে রয়েছে অসংখ্য বিদ্যুতের সার্ভিস তার, ইন্টারনেটের ডিশ ফাইবার তার ও টেলিফোনের তার। যার সংখ্যা প্রাইডের শতাধিক।
পিলার লাগোয়া আলমবাগ মার্কেটের রুজিকা ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী উত্তম দত্ত ও তার বন্ধু কাজী জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আকস্মিকভাবে পিলারে ঝুলে থাকা ওই তারের সংযোগে আগুন ধরে যায়। পরে আগুন ব্যাপকতা লাভ করে এবং দাও দাও করে জ্বলতেও থাকে। আগুনে পুড়ে তারগুলো সব পিলার থেকে নিচে রাস্তার পাশে মাটিতে পড়ে যায়। এ অবস্থায় ওই দুটি মার্কেটে থাকা প্রায় ২ শত ব্যবসায়িক বিভিন্ন দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের ভেতর আতঙ্কে সৃষ্টি হয়। সকলে দোকানের ভিতর থেকে বের হয়ে দিগবি রিক্স প্রস্তুতি করতে থাকেন। তখন ব্যস্ততম এম কে রোড ও হাট খোলা রোডে চলাচল করা লোকের ভিতরে নেমে আসে আতঙ্ক। অন্যদিকে রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনের ব্যাপক ভিড় লেগে যায়। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয় সেখানে অচল অবস্থা।
এ পরিস্থিতিতে উত্তম দত্ত দ্রুত বিদ্যুৎ অফিসে যান এবং ইন্টারনে অফিসের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বিদ্যুত ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে বলেন। সংবাদ পেয়ে তারা তাদের তাদের সঞ্চালন কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে করে সেখানে থাকা শত শত দোকানপাটের অন্য ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রায় দুইশত দোকান রয়েছে এই দুটি মার্কেটে। দ্রুত আগুন নেভানো না গেলে ওইসব দোকানগুলোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটার সম্ভাবনা ছিল। তবে দ্রুত হাসতে খপের কারণে তা হয়নি। এটা সৃষ্টিকর্তার দেয়া সৌভাগ্য হলে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে, এক একটি পিলারের সাথে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অত্যাধিক সংখ্যক ইন্টারনেটের তার, বৈদ্যুতিক তার ঝোলানো হয়েছে। যে কারণে একটি তারের সাথে আরেকটি তারের সংযোগ হয়ে যায় এ বি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরপর তারা বৈদ্যুতিক পিলারে একাধিক ইন্টারনেটে তার ঝোলাতে দিবেন না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যতটুকু ভাই ক্ষতি হয়েছে তাতে ওই মার্কেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ দুই দিনের বেশি বন্ধ থাকতে পারে। নতুন করে দোকানগুলোতে আবার বিদ্যুতের তাল লাগানো হতে পারে বলে ধারনা আছেন ব্যবসায়ীরা।