যশোর অফিস : আলাদা মাদক ও চোরাচালান মামালায় তিন জনকে ১৬ বছর কারাদণ্ডও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো চৌগাছার শাহাজাদপুর গ্রামের মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে কামাল উদ্দিন, শার্শার শামটা পশ্চিমপাড়ার আব্দুল খালেক শেখের ছেলে জামাল হোসেন মিন্টু ও ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে ইব্রাহিম। সোমবার অতিরিক্ত দায়রা জজ ৬ষ্ঠ আদালতে বিচারক বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা রায়ে এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সকল আসমি পলাতক আছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সাহাজাদপুর গ্রামের কামালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঘর থেকে ৩৯৭ বোতল ফেলসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী শেখে বাদী হয়ে কামাল ও এক্সের আলীকে আসামি করে ছৌগাছা থানায় মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ মামলার অপর আাসমি এক্সের আলীর মৃত্যু হওয়ায় আগেই তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
২০০৮ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে ডিবি পুলিশ যশোর-বেনাপোল সড়কের মালঞ্চী বাজারে অভিযান চালিয়ে জামাল হোসেন মিন্টুকে আটক ও ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবির এএসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া, ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি চৌগাছা থানার পুলিশ লস্করপুর গ্রামের মৎস্য অফিসের সামনে থেকে ইব্রাহিমকে আটক ১২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এএসআই আবু জাফর মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ছৌগাছা থানায় মামলা করেন। এ মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ১ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।