
যশোর অফিস : যশোরে আলদা তিনটি সোনা চোরাচালান মামলায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন পিবিআই পরিদর্শক তৈয়বুর রহমান, শার্শা থানার এসআই মাহফুজ হোসেন ও ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক শেখ ওয়াহিদুজ্জামান। এ তিন মামলায় মোট সোনা উদ্ধার করা হয়েছিল ২০ কেজি ৫৪০ গ্রাম।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, চৌগাছার বড়কাবিলপুর গ্রামের ওহিদুল ইসলামের সৎ ছেলে সাজু আহম্মেদ, ইউনুচ আলীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম, শার্শার মহিষাকুড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে সাজেদুর, আপদিনের ছেলে আক্তারুল এবং বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের মৃত সামছুর রহমানের ছেলে আব্দুর রজ্জাক সরদার।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৭ জনুয়ারি শার্শার অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচভুলোট গ্রামের নয়কোনা বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুর রাজ্জাকে আটক করা হয়। এ সময় তার স্বীকারোক্তিতে মোটরসাইকেলের চেসিসের নিচেয় বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৬৩ পিস সোনার বার যার ওজন ৭ কেজি ৩৩৭ গ্রাম উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, ২০১৯ সালের ২০ মে শার্শা থানা পুলিশ সংবাদ পায় শামটা জামতলা এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই সংঘতি হয়েছে। পরে এ ঘনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এসআই ঘটনাস্থলে যেয়ে জানতে পারেন বাগআঁড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা দুইজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। পরে তারা শার্শা থানায় আটক সাজেদুর ও আক্তারুলকে হাজির করে। আটক দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৮পিস সোনার বার যার ওজন ৮৫ ভরি। এ ঘটনায় তৎলিন এসআই (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) আবুল হাসান বাদী হয়ে শার্শা থানায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন।