যশোর অফিস
রোববার ২০ রাতে শহরতলী পালবাড়ী তেঁতুলতলা মোড়ে মোটর সাইকেল যোগে তিন দস্যু বাইসাইকেল আরোহী দু’জনকে গতিরোধ করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনগণ দুই ছিনতাইকারীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমান ও উপশহর বি ব্লকের বাসা নং ১৭৬ এর উজ্জল হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন। এসময় তাদের অপর সহযোগী উপশহর এ ব্লকের কাদের এর ছেলে অনিক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় সোমবার গভীর রাতে দস্যুতা আইনে মামলা হয়েছে।
যশোর সদর উপজেলার ছিলুমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আলম হোসেন বাদি হয়ে সোমবার গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত দু’জন ও একজন পলাতক দস্যুর বিরুদ্ধে মামলা দেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বাদি মেট্টো কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস এর নিউ মার্কেট শাখায় চাকুরী করেন।
প্রতিদিনের ন্যায় রোববার ১৯ জুন বাইসাইকেল যোগে বাদি ও সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের সামাদের ছেলে তৌহিদ রাত ১১ টার পর শহরতলী পালবাড়ী তেঁতুলতলা মোড়ে রাস্তার উপর পৌছানো মাত্র এ্যাপাচী আরটিআর মোটর সাইকেল যোগে তিন ছিনতাইকারী বাইসাইকেলের গতিরোধ করে। গতিরোধ করে বাদি ও তার সাথে থাকা এলাকার ছোট ভাইকে বলে যা কিছু আছে দিয়ে দিতে বলে।
বাদি তাদের গতিরোধ করার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করলে দস্যুরা খুন জখমের হুমকী প্রদান করে এলোপাতাড়ী কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং বাদির কাছে অপ্পো কোম্পানীর মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা নগদ ৩২৫০ টাকা এবং তার সাথে থাকা তৌহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। বাদি ও তার সাথে থাকা তৌহিদ দস্যুদের সাথে ধস্তাধস্তি করলে দস্যুদের মধ্যে পলাশ বাদিকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। বাদি ডাক চিৎকার করলে খুন করে ফেলবে বলে হুমকী প্রদান করে। দস্যুরা বাদিকে ছেড়ে দিয়ে তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল যোগে পালানোর পালানোর সময় আশ পাশের পথচারীসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দস্যু আমিনুর রহমান ও পলাশকে ধরে ফেলে। তাদের সহযোগী অনিক বাদির কাছে থাকা নগদ ৩২৫০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুস্যদের হেফাজতে গ্রহন করে। আসামীদের হেফাজত থেকে দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ও দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জব্দ করেন। যশেোরর কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শেখ মনিরুজ্জামান বলেন সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।