
যশোর অফিস : যশোরে জালিয়াতি করে কাবিনের টাকার অংক বৃদ্ধির অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী সহকারীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদরের আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত তাহের মোল্যার ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। যশোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো কোতয়ালি থানার এএসআই কাবিল, আইনজীবী সহকারী শহরের খড়কির মেহেদী হাসান জিল্লু, বাঘারপাড়ার জামালপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের কন্যা রোজিনা খাতুন, ছেলে আলমগীর হোসেন, সদরের দেয়াড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী নিলুফা বেগম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৬ জুলাই শহিদুল ইসলাম পারিবাকিভাবে রোজিনা খাতুনকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর রোজিনাকে তালাক দেন শহিদুল ইসলাম। তালাকের নোটিশ পেয়ে ২২ ডিসেম্বর আসামিরা বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে শহরের মতি শপিং মলে আসামি আইনজীবী সহকারী জিল্লুর রুমে ডেকে আনেন। কথাবার্তার পরে রোজিনাকে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে আবারও বিয়ে করেন শহিদুল ইসলাম। রোজিনা কিছুদিন সংসার করার পর পিতার বাড়ি যেয়ে আদালতে যৌতুক ও পারিবাকির সহিংসতা প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। আদালত থেকে নোটিশ পেয়ে মামলার নকল তুলে দেনমোহর সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেখে শহিদুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হুসাইনের সাথে যোগাযোগ করেন। তখন নিকাহ রেজিস্ট্রার হুসাইন জানান, কাবিননামায় কাজীর স্বাক্ষরটি তার নয়। আসামিরা জাল কাবিননামা তৈরি করে তাতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেনমোহর লেখে আদালতে মামলা করেছেন। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।