যশোর অফিস : যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের পরামর্শে স্কুল শিক্ষক স্বামী আমিনুল ইসলামকে কীটনাশক পানে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী সালেহা আক্তার ও তার প্রেমিক সামিউল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত ২০ রাতে সদর উপজেলার নওদা গ্রামের বিশ্বাস বাড়ির মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আমিনুল ইসলাম কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা করেছেন।
আসামি সালেহা আক্তার ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার রামপুর গ্রামের এমএ আবু তাহেরের মেয়ে এবং সামিউল ইসলাম জুয়েল যশোর সদর উপজেলার নওদা গ্রামের কেরামত পাড়ার বাসিন্দা।
বাদী আমিনুল ইসলাম মামলায় জানিয়েছেন, তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক। আসামি সালেহা আক্তারকে বিয়ের পরে দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম হয়। দীর্ঘদিন পূর্ব থেকে আসামি সামিউল ইসলামের সাথে সালেহার পরোকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি তার স্বামী জানতে পেরে সালেহাকে জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন। এতে তারা আমিনুল ইসলামের উপর চরমভাবে ক্ষীপ্ত হয়। এক পর্যায় আমিনুল ইসলামকে খুন করতে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। তারই অংশ হিসেবে গত ১৬ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমের জুসের সাথে কীটনাশক মিশিয়ে আমিনুল ইসলামকে পান করায় স্ত্রী সালেহা। এরপরে আমিনুল ইসলাম ভিশন অসুন্থ্য হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে স্ত্রী সালেহা তার প্রেমিক জুয়েলের সাথে পালিয়ে চলে যায়। পরদিন ১৭ জুন সকাল ৯টার দিকে ১২ বছর বয়সের মেয়ে তাসনিম প্রতিবেশি আব্দুস সামাদের ইজিবাইকে করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে হাসপাতাল থেকে দেয়া ছাড়পত্রে দেখতে পান তাকে কীটনাশক পান করানো হয়েছে। কিছুটা সুস্থ হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সালেহা এবং জুয়েলের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমন কি মামলার হওয়ার পরেও তাদের পুলিশ আটক করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই জয়বালা জানিয়েছেন, আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত