
যশোর অফিস : যশোর সদর উপজেলাল জঙ্গলবাঁধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিন্টুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সাড়ে তিন লাখ টাকা গাছ বিক্রি, ৩৪ শতক জমি ভোগ দখল, শহীদ মিনারের রাস্তা বন্ধ করে পজিশন বিক্রি এবং ইজারা দেয়ার নামে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এই মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার একই গ্রামের বাসিন্দা ওই স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম টুকু এই মামলা করেছেন। বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশ যশোর জোনকে আদেশ দিয়েছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম মিন্টু একই গ্রামের মৃত ডাক্তার খলিলুর রহমানের ছেলে।
বাদী মামলার বিবরণে বলেছেন, প্রায় একশ’ বছর পূর্বে বাবু সুরেন্দ্র নাথ বসু ১০ একর জমি দান করেন জঙ্গলবাঁধাল গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য। সে কারণে সেখানে জঙ্গলবাঁধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত হয়। বাদী ওই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন। তার ছেলে মেয়ে এবং নাতি নাতনীরাও সেখানে লেখাপড়া করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম মিন্টুর পিতা প্রয়াত ডাক্তার খলিলুর রহমান প্রায় ৩৮ বছর সেখানে সভাপতি ছিলেন। শুধু তাই নয় মিন্টুর বড় ভাই জহিরুল ইসলামও সেখানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে মিন্টু সেখানে তিন টার্ম সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। প্রায় দুই মাস আগে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ছাড়া কোন প্রকার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে তিনটি মেহগনি, একটি সেগুন ও ৫টি কাঁঠাল গাছ বিক্রয় করে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন সভাপতি মিন্টু। ৩৪ শতক স্কুলের জমি নিজের দখলে রেখেছেন। ওই বিভিন্ন লোকের কাছে ইজারা দিয়েও টাকা আত্মসাৎ করেছেন। স্কুলের শহীদ মিনারে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ করে তার পজিশন বিক্রি করেও টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই সকল বিষয় প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব দিতে পারেন নি। এছাড়া এই বিষয়ে শহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেছেন আমি সভাপতি গাছ ও পজিশন বিক্রির অধিকার আমার আছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলে বাদীকে খুন জখমের হুমকি দিয়েছেন।
ফলে এই বিষয়ে গতকাল আদালতে মামলা করা হলে বিচারক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।