যশোর অফিস : যশোরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে বুধবার দুপুরে যশোর সড়ক বিভাগের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের আহ্বায়ক রাশেদ খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখা,যুগ্ন আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ রিজভী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখা, মুখ্য সংগঠক শোয়েব আক্তার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখা, মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখা সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
রাশেদ খান তার বক্তব্য বলেন, মহাসড়ক গুলো যেন ঢেউ খেলানো রাস্তা, যার ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়ত এক্সিডেন্ট হচ্ছে, যার কোন প্রতিকার নাই,এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করতে ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয় তাহলে আমরা তার সুফল পায় কোথায়,আমরা সড়ক ও জনপদ নির্বাহী প্রকৌশল এর সাথে সাক্ষাৎকারে আসলে তিনি অফিসে নাই,অফিসের লোকজন বলেন, তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে মিটিং আছেন। পরবর্তীতে আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি তার সাথে কোন মিটিং ছিল না। তিনি আমাদের সাথে সাক্ষাৎ না করে পালিয়েছেন। সড়ক ও জনপদ নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ কি,তিনি প্রতি মাসে জনগণের টাকায় বেতন নিচ্ছেন, তিনি যদি সড়কগুলোর কোন কাজ না করে বা এর কোন প্রতিকার না করেন,তাহলে এই পদে তার থাকার দরকার নাই।
প্রতিবছর মহাসড়ক সংস্কারের জন্য ৩ থেকে ৭ হাজার কোটি কোটি টাকা বাজেট হয়। এক একবার শোনা যায়, ৬ লেন হবে কিন্তু কোন কাজ হয় না বা রাস্তা সংস্কারের। ফান্ডের জায়গায় ফান্ড থাকে। সড়ক ও জনপদ নির্বাহী ও প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়াররা ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে ভালো মানের কাজ না করে অর্থ লুটপাট করেন।
উল্লেখ্য প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০ টার সময় সড়ক ও জনপদ ভবনের সামনে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে কর্মসূচি ঘোষণা দেন।