যশোর অফিস : জামে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে তর্কবির্তকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কামরুজ্জামান (৩৮) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন, সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত হাজের আলী মোল্লার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব। মামলায় আসামি করা হয়, একই এলাকার ৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা তাদের সহযোগী ৫/৬ জনকে। আসামিরা হলো সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের কামরুজ্জামান ওরফে মনু মিয়ার ছেলে জনি, একই গ্রামের আব্দুল মমিন মোল্লার ছেলে ইমদাদুল হক, একই গ্রামের মৃত আব্দুর বারিক মোল্লার ছেলে আশিকুর রহমান, মৃত আব্দুল গণি মোল্লার ছেলে রিপন, আব্দুল মমিন মোল্লার ছেলে ইমরান হোসেন ও শান্তি মোল্লার ছেলে শাহিনুর রহমানসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫/৬ জন।
মামলায় আব্দুল ওহাব বলেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ দলের সক্রিয় সদস্য। তারা এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। বাহাদুরপুর বাশিয়াপাড়া-মোল্লা পাড়ায় জামে মসজিদ নির্মান করাকে কেন্দ্র করে শনিবার ৮ এপ্রিল আছরের নামাজের পরে তর্কবিতর্ক হয়। এতে আসামিরা কামরুজ্জামানের প্রতিক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট ও খুন জখম করার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার পর বাদি ও তার ছেলে কামরুজ্জামান জামে মসজিদের মাগরিব নামাজ পড়তে যায়। মাগরিবের নামাজ শেষে বারান্দায় মসজিদের উন্নয়নের বিষয় আলাপ আলোচনা কালে আসামি জনি ধারালো ছুরিসহ মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করে। আসামিরা একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজোস করে বাদির ছেলেকে মসজিদের বারান্দায় অবৈধ ভাবে আটক করে রাখে। আশিকুর রহমান রিপন কামরুজ্জামানের দুই হাত ধরে রাখে। ইমদাদুল হকের হুকুমে জনি ধারালো ছুরি দিয়ে কামরুজ্জামানকে খুন করার উদ্দেশ্যে তলপেটের ডান পাশে স্বজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য আসামিরা কামরুজ্জামানকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে জখম করে। কামরুজ্জামানের চিৎকারে বাদিসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে ধারালো ছুরি ফেলে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় কামরুজ্জামানকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে।