জন্মভূমি ডেস্ক
যশোরের মণিরামপুরে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলার আসামি কনার মন্ডলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মণিরামপুর থানার পরিদর্শক শিকদার মতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত প্রিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল শনিবার রাতে (০৭ আগস্ট) তার বোনজামাই কনার মন্ডলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
চন্দন মন্ডলের অভিযোগ, বোনজামাই কলেজশিক্ষক কনার মন্ডলের সঙ্গে একাধিক নারীর অনৈতিক সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে বোন প্রিয়ার প্রায়ই ঝগড়া হতো। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রিয়া কয়েক দফা বাবার বাড়িতে চলে আসে। কনার মাফ চেয়ে তাকে বাড়িতে নেয়। বছর চারেক আগে তার বোনের সঙ্গে কনার মন্ডলের বিয়ে হয়। মৃত্যুর সময় বোন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকালে মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে স্থানীয় লোকজন গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় প্রিয়া মন্ডল (২২) ও তার তিন বছর বয়সী মেয়ে আদৃতার লাশ উদ্ধার করে। প্রিয়া অভয়নগরের মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কনার মন্ডলের স্ত্রী।
মণিরামপুর থানার পরিদর্শক শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, এই ঘটনায় কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।